কচুয়া কৃতি সন্তান মো: মইনুল ইসলাম মজুমদারকে র‌্যাংক ব্যাজ প্রদান

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে পরিচালক পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত, কচুয়ার পালাখাল গ্রামের কৃতি সন্তান, মো. মইনুল ইসলাম মজুমদার বিএএম, পিএএম সহ আরো ১৭ জনকে র‌্যাংক-ব্যাজ পরানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সদর দপ্তরে এক অনারম্বন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালক পদের র‌্যাংক-ব্যাজ সুশোভিত করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।

এ সময়ে মহাপরিচালক মহোদয় সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, পদোন্নতি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বা দলগত সাফল্য নয়, এটি উচ্চতর দায়িত্বের জবাবদিহিতার পরিধি। যার মাধ্যমে একটি দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে পেশাগত দক্ষতায় আরও বেশি নিবেদিত করার অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্রান্তিলগ্নে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আনুগত্যের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রচলিত ধারার বাইরে পেশাগত উৎকর্ষতাকে অগ্রাধিকারের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে আরও ব্যাপকভাবে দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

পাশাপাশি সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত এ সকল কর্মকর্তা নিজ কর্মস্থলে উন্নত সেবা দান ও সামাজিক উৎপাদশীলতায় অধিকতর ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি দূরীকরণে সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন আনয়নে নির্দেশনা প্রদান করেন।

মহাপরিচালক আরো উদ্ধৃত করেন, পুরাতন ধ্যান-ধারণা পরিহার করে নব উদ্যমে উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর তৃণমূল পর্যায়ে মৌলিক অধিকার ও কল্যাণধর্মী উদ্যোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। সৃজনশীল,কার্যকরী ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ দেশের মাটি ও মানুষের আকাঙ্খা পুরনে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় উক্ত অনুষ্ঠানে বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক, উপমহাপরিচালকগণ সহ সদর দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

Share