স্ত্রী সন্তানদের সুখের কথা চিন্তা করে প্রায় ২বছর পূর্বে সৌদি আরবে পাড়ি জমান হালিম পাঠান। নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তিনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের দাম্মাম হাইল শহরে স্ট্রোকজনিত কারনে মারা যান সে। সৌদি আরবে অবৈধ থাকায় কাগজপত্রে জটিলতায় থাকায় মৃত্যুর পর সৌদি আরবে হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকা প্রবাসী চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার অভয়পাড়া গ্রামের মো. হালিম পাঠান (৪২) মরদেহ আড়াই মাস পর দেশে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে একটি ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। সেখানে তার লাশটি গ্রহণ করেন মরহুমের স্বজনরা। হালিম পাঠান অভয়পাড়া গ্রামের মৃত. ইসলাম পাঠানের ছেলে। সে ২ মেয়ে ১ ছেলেসহ বহুগুনগাহী রেখে গেছেন।
শুক্রবার সকালে অয়ভপাড়া পাঠানবাড়ি জামে মসজিদের সামনে মরহুম হালিম পাঠানের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাযায় কয়েক শতাধিক মুসল্লিগন উপস্থিত ছিলেন। জানাযা নামাজের পূর্বে মরহুমের স্বজনরা সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। জানাযা শেষে মরহুমের লাশ অভয়পাড়া পাঠানবাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমের স্বজনরা জানান, ২ বছর পূর্বে ঋন করে সৌদি আরবে যান হালিম পাঠান। হালিম পাঠান ঋন করে বাড়ি নির্মানের অর্ধেক হলেও পূর্নাঙ্গ করে যেতে পারেনি। তার ৩টি সন্তান রয়েছে। সন্তানদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন স্ত্রী জেসমিন আক্তার। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৯ এপ্রিল ২০২৪