চাঁদপুরের কচুয়ায় গ্রামাঞ্চলে লেখাপড়ার মাধ্যমে শিশু শিক্ষার অন্যান্য নাম পালাখাল ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমী। প্রতিনিয়ত শিশু শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন এ প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
জানা যায়, দোয়াটি গ্রামের অধিবাসী ও পালাখাল মডেল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন স্বপন ১৯৯৯ সালে ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গরীব-দুস্থ্য পরিবারের সন্তানরা পড়াশুনা করে আসছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্লে থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। বর্তমানে ওই একাডেমীতে ১১জন শিক্ষক ও প্রায় ২শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাড়া মহল্লায় শিক্ষার্থীদের মাঝে সু-শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করেই এলাকাজুড়েই সুনাম ধরে রেখেছেন এই একাডেমী।
স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমীতে ভালো পাঠদান করা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকরা আমাদের ছেলে মেয়েদের সঠিক পড়াশুনা করাচ্ছে। প্রতিবছর এই একাডেমী থেকে ভালো ফলাফল অর্জনে আমরা খুশি।
একাডেমীর শিক্ষকরা জানান, নিয়মিত ভাবে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রেনি কক্ষে সঠিক পাঠদান ও পড়া আদায় করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন জানান, ফাতেমা আইডিয়াল একাডেমী প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল করে আসছে। তাছাড়া প্রতি মাসে মাসিক একাডেমীতে মা সমাবেশ করা হয়। ভবিষ্যতে কচুয়া তথা জেলা পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানটি সুনাম অর্জন করবে বলেও জানান তিনি।
একাডেমীর পরিচালক মো. মাহবুব আলম বলেন, সুশিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষা পাঠদানের মাধ্যমে একাডেমী এগিয়ে চলছে। শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা ও বিগত দিনে ভালো ফলাফল অর্জন হওয়ায় একাডেমীটি দিনদিন স্থানীয় মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে ভালো ফলাফল ও শিক্ষার মান ধরে রাখতে শিক্ষকদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩