সোহেল রানা একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজ ভয়েস অব আমজনতা ও ইউটিউব আইডির মাধ্যমে মানিবক ভিডিও পোস্ট করে সবার নজড়ে আসেন। তবে সামাজিক সচেতনতা মূলক ভিডিও তৈরি করেন এবং সাধারন মানুষের এসব ভিডিও থেকে শিক্ষনীয় দিক রয়েছে। তবে বর্তমান সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। একজন যুবক নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তার যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। সমাজের অসঙ্গতি,দারিদ্র্যতা,অস্বচ্ছলতা ও জনদুর্ভোগ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা এবং সামাজিক সচেতনতামূলক নিয়ে ফেসবুক ও ইউটিউব আইডিতে পোষ্ট দেন তিনি। এতে করে প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি ও প্রবাসাীরাও আর্থিক সহয়াতা এগিয়ে আসেন। এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শিক্ষক সোহেল রানা। বলছি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার খিলমেহের গ্রামের কলিম উল্যাহ মাষ্টারের ছেলে সোহেল রানা’র কথা।
জানা যায়, উপজেলার খিলমেহের গ্রামের অধিবাসী সোহেল রানাসহ তার তিন ভাই ও ৩ বোন। তিন ভাই সরকারি কাজে নিয়োজিত। সোহেল রানা সমাজের অসহায় মানুষের জন্য বিলিয়ে দিচ্ছেন নিজেকে, তাদের জন্য করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রম এছাড়াও সামাজিক ও নৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেও রয়েছে তার অবাদ বিচরণ। সামাজিক ও নৈতিক কর্মকাণ্ডে তার প্রশংসা ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে তিনি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন মালচোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছোট বেলা থেকেই সোহেল রানা অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করার এবং সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করার স্বপ্ন দেখতেন। কয়েক বছর ধরে তিনি প্রতিনিয়ত মানবিক-সামাজিক সকল কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এখনো ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব আইডি থেকে এখনো আয় শুরু করেননি। শীঘ্রই আয় শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় কয়েকজন যুবক বলেন, সোহেল ভাই আমাদের এলাকায় বিভিন্ন সমস্যা ও মানুষের কষ্ট নিয়ে ভিডিও কন্টেট তৈরি করে ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউব আইডিতে পোস্ট করেন। এতে করে অনেক প্রবাসী,জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অসহায়দের পাশে এগিয়ে এসেছেন। প্রতিনিয়ত তিনি এ ভালো কাজ গুলো করে যাচ্ছেন। খিলমেহের গ্রামে অনেকে আর্থিক সহায়তা ও বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন তার মাধ্যমে। আশা করি তিনি এভাবে মানবিক ভিডিও কন্টেট তৈরি করে সাধারন মানুষের পাশে থাকবে।
উপকারভোগী রেনুজা বেগম, জাকির হোসেন ও আল আমিনের স্ত্রীসহ একাধিক লোকজন জানান, আমরা নানা সমস্যা ভুগছিলাম। কিন্তু আমাদের গ্রামের সন্তান সোহেল রানা আমাদের দু:খ-দুর্দশার কথা নিয়ে ভিডিও পোস্ট করায় আমরা কিছু সহায়তা পেয়েছি। তার মাধ্যমে সহায়তা পাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানান তারা।
শিক্ষক মানিবক সোহেল রানা জানান, আমি মানুষের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারি না, ছোটবেলা থেকে আমার মানুষের জন্য ভালো কাজ করার প্রবল ইচ্ছে ছিলো। এখন জীবনের বাকি সময়গুলো আমি অসহায়-অবহেলিত মানুষের তরে বিলিয়ে দিতে চাই। সোহেল রানা এমন মানবিক প্রতিটি কাজই যেন মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়ায়। কখনও তাকে দেখা রাস্তার অসহায় ভিখারিদের নিয়ে, কখনও দেখা যায় তিনি অভাবগ্রস্ত কৃষকের কথা ভিডিও করে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন । তাঁর এমন মানবিক কাজে তিনি প্রশংসা কুড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। এজন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৬ মে ২০২৩