বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে মেধা ও মননের মাধ্যমে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আবির্ভাব ঘটে তাঁর। কচুয়া উপজেলার মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়ে আগমন করেছেন তিনি।
কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের অধিবাসী সিলেট ও চট্টগ্রাম পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক পরিচালক মরহুম রোস্তম আলী মিয়ার সুযোগ্য সন্তান ড. সেলিম মাহমুদ ১৯৮৬ সালে কুমিল্লা হাই স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে এইচএসসি, ১৯৯২ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এলএলবি (অনার্স) ও ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্বালানি আইন ও পলিসি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. সেলিম মাহমুদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ডাটাবেস কার্যক্রমের টীম লিডার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কার্যালয়ের সমন্বয়কারী, ২০২২ সালের জাতীয় কাউন্সিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র উপ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম আইন বিষয়ক সম্পাদক, ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের প্রেক্ষিতে কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের পক্ষে স্যার স্টিফেন নিনিয়ান এর বিশেষ মিশন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কর্তৃক আওয়ামী লীগের চার সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটির সদস্য ও তিন দশকেরও বেশী সময় বিভিন্ন ক্যাপাসিটিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করে কচুয়ায় শিক্ষার আলো প্রজ্জ্বলিত করেন।
২০০১ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলার সকল উপজেলা পরিদর্শন করেন।
১৯৯০-৯১ সালে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে প্রথম গবেষণা করেছিলেন ড. সেলিম মাহমুদ, ১৯৯৪ সালের মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে সাংবিধানিক ব্যাখ্যা এবং এই বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব পেশ করেন। নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগে খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছাত্র ও গণআন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে রেকর্ড পরিমান মার্কস সহ এলএলবি সম্মানে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হওয়ার কারণে মাস্টার্স পরীক্ষায় দলীয়করণের অংশ হিসেবে তাকে অন্যায়ভাবে দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসির কাছে প্রতিবাদ করেছিলেন এবং এই অন্যায়ের প্রতিকার করার জন্য ভিসিকে অনুরোধ করেছিলেন।
এক এগারোর সরকারের সময় প্রথম বছর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তি এবং অন্যান্য দাবীতে যুক্তরাজ্য থেকে অসাংবিধানিক সরকারের বিরুদ্ধে ইউরোপ এবং সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বে প্রচারণা, জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও পরামর্শ গ্রহণ করেছেন।
এক এগারোর দ্বিতীয় বছর, জ্বালানি আইন ও পলিসি বিষয়ে পিএইচডি শেষ হওয়ার সাথে সাথে দুইটি বিশ্ব মানের চাকুরীর অফার গ্রহণ না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে এসে শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচটি ইমামের সাথে যুক্ত থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অসাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি সামরিক, বেসামরিক সহ নানা স্টেকহোল্ডারের সাথে যোগাযোগ রাখেন। ঐ সময়ে নেত্রী দেশে ফিরে তাকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনার মিডিয়া সেন্টারের সমন্বয়কারী মনোনীত করেন। দুইজন সমন্বয়কারীর আরেকজন ছিলেন প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিল। পরবর্তীতে সমন্বয়কারী হিসেবে কো-অপটেড হয়েছিলেন বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. সেলিম মাহমুদ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২১ নভেম্বর ২০২৩