কচুয়া উপজেলার কেশোরকোট গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মাসুদ আলমের অত্যাচার নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। শনিবার কচুয়া-কালিয়া পাড়া সড়কের কেশোরকোট গ্রামের মক্কা টাওয়ারের সামনে এ মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রথমে সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ আলমের অত্যাচার নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর স্বীকার কেশোরকোট গ্রামের অধিবাসী সৌদি প্রবাসী হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মাসুদ আলম ২০২১ সালে আমার জমির মাটি ক্রয় করে নিতে চাইলে আমি তাতে রাজি হইনি। কৌশলে আমার জমির ৩ পাশে অন্য মালিকদের নিকট থেকে মাটি ক্রয় করে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেয়, এতে করে আমার জমির মাটি ভেঙ্গে ধসে পড়ে। এর প্রতিবাদ করে কোন ফল না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিলে পুলিশ এসে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালের ৩১ মে তার এক মেয়েকে অপহরণ করেছে মর্মে আমার ছেলে আজিজুল হাকিম রিশাতের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তার মেয়ে বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে ২২ ধারায় জবান বন্দী দেয় তাকে অপহরণ করা হয়নি। প্রেমের সম্পর্কে সে রিশাতের সাথে স্বেচ্ছায় চলে গেছে বলে দাবী করে।
পরে বিজ্ঞ আদালতে এ মামলাটি তদন্তের জন্য স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনের নিকট পাঠালে মাসুদ আলম গংরা চেয়ারম্যান কোর্টে হাজির হননি। পরবর্তীতে একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাসুদ আলম কচুয়া থানায় আমার ৩ ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এর কিছুদিন যেতে না যেতেই রহিমানগর বাজার এলাকায় আমার ছেলে রিশাদকে মারধর করে বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেয়। উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদেরকেও শারিরিক নির্যাতন সহ তাদের বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে মাসুদ আলম। তিনি মাসুদ আলম গংদের এ অপকর্মের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধনে প্রতিপক্ষ মাসুদ আলমের মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার কেশোরকোট গ্রামের রোকেয়া বেগম, বাবুল মিয়া ও শাহীনসহ আরো অনেকে তাদের বিরুদ্ধে হয়রানির বর্ণনা দেন। মানববন্ধনে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও কেশোরকোট গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৫ জানুয়ারি ২০২৪