চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রাগদৈল গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। রাগদৈল গ্রামের মৃত ফজলুল করিমের মেয়ে ফারুকা বেগমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
সরে জমিনে, রাগদৈল গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের পুত্র মো: জাকির হোসেন জানান, রাগদৈল বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশে একই গ্রামের আব্দুল মান্নান মজুমদার তৎকালীন ১৯৮৮ সালে একই এলাকার রেজিয়া খাতুনের কাছে ১৭ শতাংশ ভূমি বিক্রি করেন। পরবর্তীতে রেজিয়া খাতুনের ওয়ারিশ জাকির হোসেন গংরা ওই সম্পত্তি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে একই এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে ফারুকা বেগম ওই সম্পত্তি আব্দুল মান্নান মজুমদারের পুত্র কালু মিয়া মজুমদার গংদের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে নিজেদের দাবী করে চাঁদপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭৫২/২০২৪। ওই মামলা চলমান অবস্থায় পূনরায় বাদী ফারুকা বেগম ১ জুলাই ও ৬ জুলাই তাকে হুমকি ধমকি ও কাজে বাধাঁ দেয়ার পৃথক দু’টি ঘটনা সাজিয়ে পুনরায় চাঁদপুরের মোকাম বিজ্ঞ নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট আদালতে আরো একটি মামলা করেন। যার দরঃ মোঃ নং-৫৩৬/২০২৪। এ মামলায় রাগদৈল গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের পুত্র জালাল উদ্দিন জাকির হোসেন, মৃত বশির উল্যার পুত্র ফখরুল ইসলাম, মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র মোশাররফ হোসেন, জয়নাল আবেদীনের পুত্র ইউনুস ও মৃত মোতালেব মজুমদারের পুত্র মফিজুল ইসলাম রিপনকে আসামী করা হয়।
অথচ মামলার স্বাক্ষী আবুল হোসেন, কালু মিয়া মজুমদার, দুলাল প্রধান, মইনুল ইসলাম, শাহজাহানসহ আরো অনেকে জানান, ১ জুলাই ও ৬ জুলাই বাদীর সাথে প্রতিপক্ষ গংদের কোন বাগ বিতন্ডা কিংবা হুমকি-ধমকির ঘটনা হয়নি। তাছাড়া মামলার ১নং বিবাদী জালাল উদ্দিন গত ১৯ জুন (ঈদুল আযহার ২দিন পর) সিঙ্গাপুর চলে যান। অথচ জালাল উদ্দিনকে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। স্বাক্ষীরা আরো জানান, ফারুকা বেগম আমাদেরকে এ সংক্রান্ত কিছুই জানাননি। আমাদের মতামত না নিয়েই আমাদেরকে স্বাক্ষী দেয়া হয়েছে। আমরা ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
এ ব্যাপারে বাদীর বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও তার পুত্র ইউপি সদস্য মো: ফরহাদ হোসেন বলেন, ওই যায়গা আমরা ১৯৯৬ সালে কালু মিয়া মজুমদারের কাছ থেকে ক্রয় করে ঈদের আগে ভরাট করেছি। যাহা আমার মা ফারুকা বেগম ও খালাদের নামে খারিজ ও অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে। হঠাৎ ঈদের ২ দিন আগে প্রতিপক্ষ জাকির হোসেন গংরা বহিরাগত লোক এনে আমাদের ভরাটকৃত যায়গার উত্তর অংশে সীমানা প্রাচীর ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেন। আমরা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি। মামলার রায়ে যা হয় তাই মেনে নিবো।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন জানান, একটি পক্ষ আমার নিকট এসেছে। কাগজপত্র দেখে উভয়ের সাথে আলাপ আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৬ জুলাই ২০২৪