কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের ভিজিডি সুবিধাভোগী তালিকার আওয়তায় ২শ ২১ জন সদস্য ২’শ টাকা করে সঞ্চয় জমা দেওয়ার পরে জমাকৃত টাকা নিয়ে লাপাতা হয়ে যায় এজেন্ট শাখার উদ্যোক্তা আবুল কালাম আজাদ। অবশেষে বিতারা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. ইসহাক সিকদার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ব্যাংক এশিয়া হাজীগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপকের সহায়তায় রবিবার সাচার বাজার ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকে কার্যালয়ে ২’শ ২১ জন গ্রাহকের মাঝে কিছু আংশিক অর্থ ফেরত দেয়া হয়। এসময় এজেন্ট ব্যাংক এশিয়া সাচার শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও ইউপি সচিব জাকির হোসেন মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
উপকারভোগী সদস্যরা জানান, পূর্বে ও আজকে আমরা জমাকৃত টাকার আংশিক টাকা পেয়েছি। আমরা উদ্যোক্তা আবুল কালামের কাছ থেকে আমাদের পুরো টাকা ফেরত চাই।
ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. ইসহাক সিকদার জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে আমার ইউনিয়নে সরকারের ভিজিডি উপকারভোগী সদসদের সঞ্চয় জমা দানের জন্য ব্যাংক এশিয়া বিতারা বাজার শাখার উদ্যোক্তা খলাগাঁও গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র আবুল কালাম আজাদ নিযুক্ত হয়। পরবর্তীতে তিনি প্রতি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২শ টাকা করে মোট ৪ হাজার ৮শত টাকা জমা নেন। এক পর্যায়ে উদ্যোক্তা আবুল কালাম আজাদ ভুয়া জমা ভাউচার তৈরি করে উপকারভোগী সদস্যদের অনেক টাকা জমা না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেন এবং নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ অবস্থায় গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে তাকে বারবার চেষ্টা করে না পেয়ে আমি নিজে অভিযুক্ত এজেন্ট ব্যাংক এশিয়ার বিতারা শাখার উদ্যোক্তা প্রতারক আবুল কালাম আজাদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এদিকে ব্যাংক এশিয়া বিতারা বাজার শাখা উদ্যোক্তা অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য জানতে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৩ আগস্ট ২০২৩