কচুয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

কচুয়া উপজেলার ৪০নং নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদ উল্যাহর বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত, রুটিন মেইনটেইন ও স্লিপের বরাদ্দের টাকা ইচ্ছা মতো খরচ ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বাশার শাহীনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কমিটির সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে, কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নোয়াদ্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ বিদালয়ের উন্নয়নের লক্ষে ২লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া এর আগে রুটিন মেইনটেইনস বাবদ ৪০ হাজার ও স্লিপ বরাদ্দ বাবদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: এবায়েদ উল্যাহ, বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বাশার শাহীন, সহ-সভাপতি আব্দুল জলিলসহ ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্যদের না জানিয়ে নিজ ইচ্ছা মতো ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নাম মাত্র উন্নয়ন কাজ করেন এবং বাকি অর্থ আত্মসাত করেন। ওই বিদ্যালয়ের নতুন কমিটি প্রশাসনিকভাবে এখনো অনুমোদন না হলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়েদ উল্যাহ মঙ্গলবার বিদ্যালয় মিলনায়তনে নতুন কমিটির পরিচিত সভার আয়োজন করেন। পরিচিতি সভার শুরুর দিকে অভিভাবক হাবিব উল্যাহ সরকারি প্রাপ্ত বরাদ্দ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে এবং কমিটির সভাপতি ও সকল সদস্যরা জানে কিনা জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. এবায়েদ উল্যাহ উত্তেজিত হয়ে হাবিব উল্যাহর সাথে অশালীন আচরন করে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন। এ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়। এক পর্যায়ে সভার শেষ দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়েদ উল্যাহ নিজের ভুল শিকার করে সরকারি বরাদ্দের ২ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করেছেন বলে দাবী করেন। স্থানীয়রা আরো জানান, নোয়াদ্দা সপ্রাবি’র সহকারি শিক্ষক মো: এবায়েদ উল্যাহ জৈষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন করে ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রাশেদা সুলতানাকে বাদ দিয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ আকড়ে ধরে রেখেছেন।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়েদ উল্যাহর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল বাশার শাহীন, সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল, অভিভাবক হাবিব উল্যাহসহ আরো অনেকে।

এসময় ইউপি সদস্য ফরিদ পাটওয়ারী, বিদ্যালয়ের বর্তমান সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, অভিভাবক সদস্য জামাল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিনিধি শাহ আলম, সাবেক সদস্য মানিক মিয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্লাষ্টার অফিসার, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার সুভাস চন্দ্র দাস জানান, আমি এই ক্লাষ্টারে নতুন দায়িত্বে আছি। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কচুয়া প্রতিনিধি, ১৬ জুলাই ২০২৪

Share