চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামে ব্ল্যাক রাইস (কালো ধান) চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুন উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান। এই ধান, এর চাল ও ভাত কালো রঙের। একসময় ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশের রাজা-বাদশাহরা অত্যন্ত পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই চালের ভাত খেতেন। সাধারণ প্রজাদের এটা চাষ করা ও খাওয়া নিষেধ থাকায় এর নাম হয় নিষিদ্ধ ব্ল্যাক রাইস। তরুন উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ানের সাফল্যে এই ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অন্য কৃষকরাও।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল কুদ্দুস ও শামীম আহমেদ সহ একাধিক কৃষকরা জানান, এই প্রথম আমাদের মাঠে কালো ধানের চাষ হয়েছে। সোহেল দেওয়ান তিনি তার জমিতে কালো ধানের আবাদ করেছেন। পাশাপাশি ওই জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। আমরাও সামনের দিকে বীজ সংগ্রহ করে জমিতে ব্ল্যাক রাইস (কালো ধান) আবাদ করব।
তরুন উদ্যোক্তা সোহেল দেওয়ান জানান, আমার বাবা হালিম দেওয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ কেজি প্রতি কেজি ১২শ টাকা দরে কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি বীজ বপন করে চারা উৎপাদন এবং ৫৪ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করেন। তাঁর ক্ষেতে ফলনও ভালো হয়েছে। ৫৪ শতাংশ জমি থেকে ভালো ধান পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এই ধানের চাউল বিশেষ করে ক্যান্সার,ডায়াবেটিস,হাট ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য উপকারী। অন্য ধানের তুলনায় এটি চাষে বেশি লাভের আশা করছেন তিনি। কারণ, নতুন এই ধানের দাম অনেক বেশি। প্রতি কেজি তিনি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক তাঁর কাছ থেকে বীজ কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র সরকার বলেন, এ ধানটি একটি উন্নত জাত। এটি সচরাচর চাষাবাদ কম। কচুয়া উপজেলা এই প্রথম কালো ধানের আবাদ করা হয়েছে। তরুB উদ্যোক্তাকে কালো ধানে চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কোনো কৃষক ব্ল্যাক রাইস চাষাবাদে আগ্রহী হলে কৃষি অফিস থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৬ মে ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur