কচুয়ায় ব্রিজ আছে রাস্তা নেই

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা-সাজিরপাড় সড়কে ব্রীজ আছে নেই সংযোগ সড়ক। বিতারা ইউনিয়নের সাজিরপাড় থেকে বিতারা স্কুল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সাজিরপাড়, বাতাপুকুরিয়া, দূর্গাপুর, কলাকোপা গ্রামের জনগনের চলাচল ও বিল থেকে ফসল সংগ্রহ করার রাস্তা। ত্রান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীন সেতু/কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে বিলের মাঝে বিতারা মোল্লা বাড়ির পশ্চিম অংশের এলাকায় খালের উপর ৭৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩শত ২৫ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রীজ করা হয়। দুই বছর আগে নির্মিত ব্রীজটির কাজ শেষ হলেও জনদুর্ভোগ কমেনি এবং সড়কটি জনচলাচলের পূর্ণতা পায়নি। ওই কাচা সড়কে সেতুটির উত্তর-পশ্চিম দিকে একটি কালভার্ট ও একটি ছোট ব্রীজ নির্মিত হলে জনগনের চলাচলের উপযোগী হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সাজিড়পার থেকে বিতারা যাওয়ার এ ব্রীজটির পশ্চিম পাশে ব্যবহারের অনুপযোগী সংযোগ সড়ক রয়েছে। রাস্তা থাকলে ব্রীজটিকে ঘিরে সাজিরপাড়-বিতারা এলাকার মধ্যে সংযোগ স্থাপনসহ কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর আঞ্চলিক সড়কের সাচার বাজার থেকে কচুয়াসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেত।

নিরুপায় কৃষকগন সাজিড়পার-বিতারা কাঁচা সড়ক দিয়ে মাঠ থেকে কষ্ট করে ফসল সংগ্রহ করছে।

স্থানীয়রা জানান ব্রীজের সংযোগ সড়ক,কালভার্ট ও ব্রীজ নির্মান করলে মানুষের যাতায়াতে অনেকটা কষ্ট লাঘব হবে। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার ও প্রয়োজনীয় ব্রীজ নির্মাণ করতে কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছে।

বিতারা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার জানান, বিতারা ইউনিয়ন ৫ গ্রামের মানুষের বিকল্প সড়ক হিসেবে চলাচলের জন্য এ রাস্তা ও ব্রীজটি আমার প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে অসমাপ্ত কাজ শেষ হলেই মানুষ সহজে চলাচল করতে পারবে।

এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাষক মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, বিতারা-সাজিরপাড় সড়কে একটি ছোট ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মানের জন্য ত্রান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

Share