কচুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত শিক্ষার্থী সুরাহিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন

চাঁদপুরের কচুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুরাহিন মোল্লা (৯)। সে উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের সুমন মোল্লার ছেলে।

জানা যায়, গত ৮ জুন সকালে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুরাহিন মোল্লা সাচার উত্তর বাজার শফিক টাওয়ার বিদ্যুৎ অফিসের উপর খোলা ছাদে খেলার সময় হাই ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎ úৃষ্ঠ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিদ্যুৎ পৃষ্ট সুরাহিন মোল্লার দু’হাত কেঁটে ফেলা হয়। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান। এদিকে প্রায় ১ মাস অতিবাহিত হলেও স্থানীয় সাচার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কেউ কোন রকম খবর রাখেনি বলেও জানান তারা।

আহত সুরাহিন মোল্লার বাবা সুমন মোল্লা ও চাচা তানভীর জানান, সাচার বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের পশ্চিম পাশে আমাদের বসতঘর। বিদ্যুৎ অফিসের পাশ দিয়ে ঘেষা হাই ভোল্টেজের তার সংযোগ রয়েছে। ঘটনার দিন সকাল বেলায় সুরাহিন মোল্লা ওই ছাদে খেলার অগোচরে আকস্মিক ভাবে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ অফিসের গাফলতির কারনে সুরাহিন মোল্লার এ অবস্থা হয়েছে। একমাস পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ অফিসের কোনো লোকজন খোঁজ নেয়নি গুরুতর আহত সুরাহিন মোল্লার। স্থানীয়রা জানান, সুরাহিন মোল্লার বাবা সুমন মোল্লা ৩ মাস পূর্বে প্রবাস থেকে শূন্য হাতে দেশে ফিরেন। তার অভাবের সংসারে যা আছে সহায় সম্পত্তি সব বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সামনের দিকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে সুমন মোল্লার আর কোন সামর্থ নেই। তাই প্রসাশনসহ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন অসহায় পরিবারটি।

এবিষয়ে সাচার পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. মাসুম মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার দিন সকাল বেলায় আমাদের অফিসের মেইন গেট বন্ধ ছিল। পেছনের অন্য গেইট দিয়ে শিশুটি ছাদে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। ইতোমধ্যে আমরা ছাদে শিশুদের উঠতে বারণ করেছি। মৃত্যুর সােেথ পাঞ্জা লড়া শিশুটির সহযোগিতা করা হবে কিংবা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কিছু করার নেই।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৮ জুলাই ২০২৪

Share