কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিতারা আলিম মাদ্রাসায় ২০২৪ সাল থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষে ফাযিল (ডিগ্রি) পাঠদানের অনুমতি পেয়েছে। মাননীয় ভাই চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে সহকারী পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাদ্রাসা পরিদর্শন দপ্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এর স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। বিতারা মাদ্রাসায় ফাযিল (ডিগ্রি) পাঠদানের অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলের আনন্দ উৎসাহ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার বিতারা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত বিতারা দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৯৫ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ ইং সালে দাখিল স্বীকৃতি লাভ এবং এমপিও ভূক্ত হয় ১৯৯৯ সালে। পাশাপার্শি ২০১০ সাল থেকে বিতারা মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র অনুমোদন পায়। আলিম স্বীকৃতি পায় ২০১৫ সালে ও এমপিও হয় ২০১৯ সালে এবং সর্বশেষ ২০২৪ ইং সালে ফাযিল (ডিগ্রি) অনুমোদন লাভ করে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মনির হোসেন বলেন, বিতারা গ্রামের সাদা মনের মানুষ ও বিশিষ্ট দানবীর আলহাজ্ব মো. মোসলেম মোল্লার পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রতিষ্ঠার কারনেই বিতারা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি দ্বীনি শিক্ষার জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিবছর শতশত শিক্ষার্থীরা সু-শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মরহুম গোলাম ছাদেক সায়েদী,পীর সাহেব আড়াইবাড়ি দরবার শরীফ কুমিল্লা। এদিকে বিতারা আলিম মাদ্রাসা থেকে বর্তমানে ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় স্বীকৃতি পাওয়ায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মো. মোসলেম মোল্লা,অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মনির হোসেন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪