কচুয়ায় ফসলী জমি নষ্ট করে সরকারি খাল খননের অভিযোগ

কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের আলিয়ারা-রাজবাড়ী বাজার থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার ক্ষীড়াই খাল পূর্ণ খনন কাজে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা, ফসলী জমি নষ্ট ও গাছগাছালি কেটে পূণ: খননের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জমির মালিকরা প্রকৃত খাল দিয়ে পূণ: খাল খননের দাবী জানিয়ে রবিবার প্রতিবাদ মানববন্ধন শেষে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।

সরেজমিনে স্থানীয় কৃষক উত্তম কুমার দেবনাথ, সুবাস দেবনাথ, অমর দেবনাথ, গৌতম দেবনাথ, জাকির হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজের ঠিকাদার আফসার হাবিব তার লোকজন দিয়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা না করে আমাদের ইরি ধানের ফসলী জমি নষ্ট করে এবং গাছ-গাছালী নষ্ট করেই ভেকু দিয়ে ইচ্ছমতো মাটি কেঁেট যাচ্ছেন। এতে করে আমাদের ফসলী জমি ও গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এসময় তারা উল্লেখিত খালে সঠিক জায়গা দিয়ে খাল পূণ: খননের দাবী জানান।

ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী সুজন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের ফসলী জমি ও গাছ-গাছালি কেঁেট খাল খননের বিষয়টি কৃষকগণ আমাকে জানিয়েছেন। সঠিকভাবে সরকারি নিয়মে কাজ করার জন্য জোর দাবী জানাই।

কাজের ঠিকাদার আফসার হাবিব মুঠোফোনে জানান, ভেকু উঠা নামার কারনে কাজে কৃষকদের কিছু সমস্য হয়েছে। পরবর্তীতে বড় ভেকু দিয়ে কাজ করা হবে এবং স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে ক্ষতির বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইকবাল হাসান মুঠোফোনে জানান, ফসলী জমি নষ্ট করে কোনোভাবেই খাল খনন করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতিসাধন হলে তদন্তপূর্বক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

Share