কচুয়ায় গভীর রাতে জানালার গ্রীল কেঁটে গৃহে প্রবেশ করে স্বর্ন-গহনা, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় ১ কোটি টাকার মালামাল লুটে নিয়ে নিয়েছে মুখোশধারী ডাকাত দল। মঙ্গলবার মধ্য রাতে গোহট মজুমদার বাড়ির ওমান প্রবাসী রাকিবুল ইসলাম ও খোরশেদ আলমের গৃহে এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম ও সহকারি পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সরেজমিনে প্রবাসী রাকিবুল ইসলাম ও খোরশেদ আলমের বাবা মো. আবু তাহের মজুমদার জানান, আমার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে ওমান প্রবাাসী। বাড়ীতে আমার এক প্রতিতবন্ধী ছেলে মাসুদ, স্ত্রী ও পুত্রবধু নিয়ে বসবাস করি। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাতে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমাতে যাই। রাত ২টার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে উঠে দেখি ১২-১৫ জন ডাকাত। আমার পুত্রবধুর গলায় চুরি ধরে রেখে ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে হাত পা ও মুখ বেঁধে রেখেছে। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে ৫-৬ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দৌড়ে এসে আমার গলায় ছুরি ধরে। আমি ডাক-চিৎকার দিতে চাইলে তারা সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার হাত পা মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় তারা আমার ঘরে থাকা ৫১ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মূল্যের ২টি রোলেক্স ঘড়ি, ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান দেশী বিদেশী শোপিস নিয়ে যায়। ডাকাত দল চলে গেলে আমার পুত্রবধু আমাদের হাত পা মুখের বাঁধ খুলে দেয়। পরে রাতেই আশপাশের লোকজন ও কচুয়া থানা পুলিশকে ডাকাতির বিষয়টি অবগত করি। ঘরের বাহিরে এসে দেখি ডাকাতদল রান্না ঘরের জানালা গ্রীল কাঁটা ও ওই জানালা দিয়ে ডাকাতদল ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছে। আমার ঘরের চারপাশে ও ভিতরে সিসি ক্যামেরা ছিল। ডাকাতদল ডাকাতি করে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ডিভিয়ার মেশিন (মেমরী) নিয়ে যায়। এঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি পরিকল্পিত চুরি না ডাকাতি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur