কচুয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৪, থানায় অভিযোগ

কচুয়া উপজেলার আইনপুর গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ লোকজনের হামলায় যুবদল নেতাসহ অন্তত ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন, আইনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক পাঠানের পুত্র ইমাম পাঠান (৪০), তার পুত্র রিফাত (২১), একই গ্রামের আবুল বাসারের পুত্র ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আনিছুর রহমান (৩৯) ও তার পুত্র ছাব্বির পাঠান (১৯)। আহতরা বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে ইমাম হোসেন পাঠানের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষ লোকজন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ইমাম পাঠান বাদী হয়ে একই গ্রামের যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও আওয়ামীলীগ নেতা কবির হোসেনসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে শনিবার রাতে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আইপুর গ্রামের আলম পাঠান নামের জনৈক ব্যাক্তি সিদ্ধ ধান চুরি করাকে কেন্দ্র করে ইমাম পাঠান ও আনিছ পাঠান প্রতিবাদ করেন। পরে চোরের পক্ষ নিয়ে একই গ্রামের ছাদ্দাম ও কবির হোসেন গংরা তাদের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। এ নিয়ে উভয়ে থানায় ও কোর্টে এজাহার দায়ের করলে বিষয়টি স্থানীয় ভাবে উভয়ের সমাধান হয়।

পরবর্তীতে শনিবার বিকেলে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে প্রতিপক্ষ লোকজন আইনপুর গ্রামে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন। এসময় ইমাম পাঠান কচুয়া থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে আইনপুর পাকা রাস্তার মাথায় পৌছলে প্রতিপক্ষ লোকজন ইমাম হোসেন পাঠানকে বেধম মারধর করেন। এসময় আনিছ পাঠান ও অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে একই গ্রামের জাহাঙ্গীর, জালাল, আলহাদ, কাউছার, ইব্রাহিম, আল আমিন, গিয়াসউদ্দিন, মোজাম্মেল, মিজান, মেহেরুনা, মাকসুদা, মিরু বেগম সহ ১৫-১৬ জন উশৃঙ্খল লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে আহত যুবদল নেতা আনিছ পাঠান বলেন, ছাদ্দাম ও কবির ভূঁইয়া বিগত ফ্যাঁিসবাদী আওয়ামী সরকারের সময়ে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে এলাকায় বিএনপি সমর্থকদের উপর নির্যাতন করেছেন। এখনো আমাদের উপর দমন পীড়নের মাধ্যমে পূর্বের ফ্যাসিঁ বাদী কর্ম করতে না পেরে মিথ্যা মানববন্ধন আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম জানান, আইনপুর গ্রামে হামলা ও মারধরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২৫ মে ২০২৫