কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া গ্রামের মজুমদার বাড়ির বিল্লাল হোসেন গং পৈত্রিক সম্পত্তি আদালতের রায় পেয়েও হয়রানি শিকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিল্লাল হোসেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার বরাবরে গত ১৫/০৮/২০২৩ ইং তারিখে এ অভিযোগটি দেয় ।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ প্রতিনিধি সরেজমিন গেলে, বিল্লাল হোসেনের অভিযোগ এবং তিনি জানান, বিবাদী হাবিবুর রহমান গং আমার নিকট আত্মীয়। তারা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের পৈত্রিক ও মাতৃক সম্পত্তি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চালিয়ে আসছে। সম্পত্তি নিয়ে আদালতে ৩টি মামলা আমাদের পক্ষে রায় হওয়ার পর ২০১২ ইং সালে আমাকে ও আমার দু’ভাইকে কুপিয়ে আহত করে এবং এতে দু’ভাই মৃত্যুবরণ করে। এ হত্যা মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত সম্পত্তির উপর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চাঁদপুর নন জি.আর ০৯/২০১৯ইং চলমান রয়েছে। আমাদের সম্পত্তির উপর গাছগাছালি হাবিব গং জোর পূর্বক কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কচুয়া থানায় অভিযোগ দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি সহ আর্থিক ক্ষতিসাধিত করে আসছে।
বিল্লাল হোসেনের এ অভিযোগের আলোকে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মানবিক সহায়তায় অভিযোগটি গ্রহন করে বিল্লাল হোসেনের পক্ষে সম্পত্তি পরিমাপক্রমে মীমাংশা করে দেয়ার জন্য ইব্রাহিম খলিল দুলাল ভুইয়া নামে এক সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেয়। পুলিশ সুপার একই মানবিক লক্ষ্যে হাবিবুর রহমান গংদের পক্ষেও কচুয়া পৌরসভা এলাকার করইশ গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক দুলাল প্রধান কে দায়িত্ব দেয়। গত ২/আড়াই মাস থেকে তারা উভয় পক্ষকে নিয়ে পঞ্চাম দফায় সোমবার (১৬ অক্টোবর) পরিমাপের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
হাবিবুর রহমান গং জানান, আমরা ওয়ারিশ পৈত্রিক সূত্রে কাগজপত্র মোতাবেক সম্পত্তি ভোগ দখল করে যাচ্ছি। বিল্লাল গং আমাদের উপর জোর চালিয়ে গাছ কাটায় বাধা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
সার্ভেয়ার ইব্রাহিম খলিল দুলাল ভূঁইয়া জানান, পুলিশ সুপার মহোদয় বিষয়টি মানবিক কারনে আমলে নিয়ে আমাকে বিল্লাল হোসেনের পক্ষে এবং হাবিবুর রহমান গংদের পক্ষে দুলাল প্রধান কে দায়িত্ব দেয়। আমরা একাধিকবার পরিমাপ করছি আজও পরিমাপ অব্যাহত রয়েছে এবং সমাপ্তির পথে।আশা করি অতিশীঘ্রই সম্পত্তি পরিমাপের দিক নির্দেশনার চিত্র তুলে ধরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করব। এসময় উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: কাজল মিয়া, বিশিষ্ট সমজাসেবক মোঃ তকদির হোসেন মিহির মজুমদার প্রমুখ। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ বিল্লাল হোসেন ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
কচুয়া প্রতিনিধি, ১৬ অক্টোবর ২০২৩