চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গুলবাহার মিয়াজী বাড়ির অধিবাসী অসহায় বৃদ্ধ সিএনজি চালক কবির হোসেন মিয়াজীর অসহায়ত্বের পাশে দাড়াঁলেন জীবন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ফয়সাল চৌধুরী জীবন। জায়গা থাকা সত্ত্বেও অর্থ ও সামর্থ না থাকায় দীর্ঘদিন ভাঙ্গা ছনের ঘরে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন কবির হোসেন মিয়াজী। একটু বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস আসলে ওই গৃহে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এমন সংবাদ পেয়ে ফয়সাল চৌধুরী জীবন নিজেই সরেজমিনে ওই অসহায় পরিবারের বাড়িতে ছুটে যান। প্রতিশ্রুতি দেন কিছুদিনের মধ্যে একটি নতুন চকচকে গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ২৯এর বন্দের টিনের ঘর নির্মান করে দেয়া হয় কবির হোসেন মিয়াজীকে। ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন ওই অসহায় পরিবারটি। কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি দু’হাত তুলে মহান আল্লাহ তায়লার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন ঘর উপহার দাতা ফয়সাল চৌধুরীর জীবন ও তার পরিবারের জন্য।
নিরীহ কবির হোসেনের স্ত্রী সাগরিকা বেগম জানান, আমার এক ছেলে ও স্বামী নিয়ে দীর্ঘদিন একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছিলাম। স্বামী বৃদ্ধ ও ছেলে কর্মহীন হওয়ায় ঘর করার সামর্থ্য ছিলো না আমাদের। এ সংবাদ পেয়ে গুলবাহার গ্রামের অধিবাসী ফয়সাল চৌধুরী জীবন আমাদের একটি ঘর নির্মান করে দেন। আমরা খুবই খুশি এবং তার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে-ই আলম রিহাত জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে ওই পরিবারটি খুবই অসহায় একটি পরিবার। চৌধুরী ফাউন্ডেশনের কর্ণধার ফয়সাল চৌধুরী জীবন ভাই কবির হোসেন মিয়াজীকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে সুন্দর একটি ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। এজন্য কাদলা ইউনিয়বাসীর পক্ষ থেকে ফয়সাল চৌধুরী জীবন মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
পাশাপাশি তিনি যাতে এভাবে সকলের পাশে থেকে অসহায় মানুষকে সেবা দিতে পারে সেজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই। চেয়ারম্যান আরো জানান, সোমবার ঘরটি আমি নিজে এসে উপকারভোগী পরিবারের কাছ কাজের অবস্থান জানি এবং গৃহে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তাদেরকে ওই গৃহে বসবাসের জন্য আহ্বান করি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৬ নভেম্বর ২০২২