Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫ জন প্রত্যাহার, দুই শিক্ষার্থী বহিস্কার
সচিবসহ

কচুয়ায় দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫ জন প্রত্যাহার, দুই শিক্ষার্থী বহিস্কার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ ও নিন্দপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষার্থীরা বই খুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে দায়িত্বরত দুই কেন্দ্র সচিবসহ ৫জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরা হচ্ছেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো.আবুল খায়ের ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো.হাবিবুর রহমান।

রবিবার (৮ জুলাই) কচুয়ার ইউএনও’র চিঠির আলোকে এই ব্যবস্থা নেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। এছাড়া একই অভিযোগে চঁাদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই দুই কেন্দ্রের ট্যাগ অফিসার কেএম সোহেল রানা,উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার জয়নাল আবেদীন ও প্রভাষক আরিফুর রহমান চৌধুরীকেও প্রত্যাহার করা হয়। তবে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, এবারের এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কচুয়ার নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নাম্বার কক্ষে পরীক্ষার্থীরা কেউ বই খুলে, কেউবা বাহিরে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার কেউ একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এ বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে বাহিরে প্রচার করে।

বিষয়টি তখন প্রশাসনের নজরে আসে।
কিন্তু ওইদিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন কচুয়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা। তঁার উপস্থিতিতে ওইদিনসহ প্রতিদিনই এভাবে ওপেন বই দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে ওই এই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

রোস্তম আলী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোন কক্ষে কি হয়েছে সেটা আমি বলতে পারছিনা। তবে এ ঘটনায় প্রশাসন দুই কেন্দ্রের সচিবকে পরিবর্তন করে সোমবার ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এরা হচ্ছেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মোল্লা ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

ইউএনও এহসান মুরাদ বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকেও একটি তদন্ত টিম এসেছে।

এদিকে নিন্দপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজে মঙ্গলবার আইসিটি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের রাকিব মোল্লা ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার মো, হৃদয় মিয়াকে অনিয়মের অভিযোগে বহিস্কার করেছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শন টিম।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,৯ জুলাই ২০২৪