চাঁদপুরের কচুয়ায় খরা, তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে মরে যাচ্ছে পাটক্ষেত, মাটি ফেটে চৌঁচির হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার প্রচন্ড তাপতাহ পড়ছে। এই খরতাপে জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। সময়মত পাট গাছের সঠিক বৃদ্ধি হচ্ছে না। ফলে চলতি মৌসুমে চাষকৃত পাট নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের সাথে কথা বলে যানা গেছে, প্রচণ্ড খরায় জমির মাটি ফেটে যাচ্ছে। পাটগাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। তপ্ত রোদ থেকে সোনালী আঁশ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে জমিতে সেচ দিচ্ছেন অনেক কৃষক। কেউ পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন, আবার কেউ সেচ দেওয়ার পরে জমিতে সার দিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের আবাদ করা হয়েছে । এছাড়াও ১শ জন চাষীকে প্রনোদনার পাটবীজ প্রদান করা হয়েছে।
পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের সেঙ্গুয়া গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান জানান, অনাবৃষ্টির কারনে প্রথমে পানি দিয়ে পাটচাষের পর থেকে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাটি আবার শুকিয়ে রস শূন্য হয়ে গেছে। এতে করে পাটের বৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। পাটে তীব্র তাপদাহের কারনে পোকার আক্রমন বেড়ে গেছে।
উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের পালাখাল গ্রামের কৃষক হারুনুর রশিদ বলেন, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার অনেক জমিতে পাট চাষ করেছি। অনাবৃষ্টির কারণে এবার ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তার পরও পাটগাছ বাড়ছে না। সব মিলিয়ে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে পাট চাষের শুরু থেকেই পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় প্রচণ্ড খরার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে পোকার আক্রমন হলে দ্রুত জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। নিয়ম মেনে জমিতে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১০ মে ২০২৪