কচুয়ায় টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত ১৬ হাজারের অধিক পরিবার

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় ১৬ হাজার ১শত ১০ জন অসহায় পরিবার টিসিবির পণ্য থেকে বঞ্চিত। পুরনো কার্ডধারী ও নতুন তালিকাভুক্তরা স্মার্টকার্ড না পাওয়ায় টিসিবি পণ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। টিসিবি পণ্য না পেয়ে দুভোর্গে পড়েছেন এ অসহায় পরিবার গুলো।পবিত্র রমজান মাসে তারা ও পাচ্ছে না স্বল্পমূল্যের টিসিবি পণ্য। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ভোক্তভোগীরা। বাধ্য হয়ে বেশি দামে বাজার থেকে পণ্য কিনতে হচ্ছে পরিবারগুলোকে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট টিসিবি কার্ডধারী সুবিধা ভোগী পরিবার রয়েছে ৩১ হাজার ৮শত ৭০ জন। গেলো বছরের শেষ দিকে সুবিধা ভোগী পরিবারগুলোর পুরনো কার্ডগুলো জমা নেওয়া হয়। পুরনো কার্ড গুলো নবায়ন করে স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তন করা হয়েছে।

এরপর দীর্ঘ ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও সব স্মার্ট কার্ড এখনো আসেনি। তন্মেধ্য ২২ হাজার ৫শত ৮৪ টি কার্ড স্মার্টে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। এই পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭শত ৬০ টি স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে সুবিধা ভোগী পরিবার গুলো টিসিবি পণ্য পেয়েছে। স্মার্ট কার্ড এখনো হাতে পায়নি ৬ হাজার ৮শত ২৪ টি সুবিধাভোগী পরিবার। এছাড়া পুরনো কার্ড থেকে ৯ হাজার ২শত ৮৬টি কার্ড বাদ পড়েছে। বিভিন্ন ক্রটিজনিত কারণে ২০৫টি কার্ড এন্ট্রি দেওয়া হয়নি। বাকী ৯ হাজার ৮১ টি স্মার্ট কার্ড প্রেরণের জন্য তথ্য পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী সহদেবপুর ইউনিয়নের তুলপাই গ্রামের বাসিন্দা পুরনো টিসিবি কার্ডধারী মো.সাইফুল ইসলাম ও পৌরসভার বাসিন্দা সুজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগে সব সময় আমরা টিসিবির পণ্য পেতাম। টিসিবি পণ্য পেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে চাল, ডাল, তেল ও চিনি নিয়ে মাস চলে যেত।

পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতাম। এখন এমনিতে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি। তার মধ্যে আবার টিসিবি তালিকা থেকে বাদ পড়লাম। বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে চাল,ছোলা, তেল, চিনি, ও ডাল কিনলাম। কি কারণে টিসিবি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলো তার কারণ খোঁজে পাইনি। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো মহাবিপদের মধ্যে আছি না পারি বলতে না পারি সইতে।
ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, যাারা এখনো স্মার্ট কার্ড হাতে পায়নি তাদের কার্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা স্মার্ট কার্ড পাওয়া মাত্রই বিতরণ করবো।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১০ মার্চ ২০২৫

Share