চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের পুকুরে চাষকৃত মাছ জোরপূর্বক ধরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। একই গ্রামের প্রান্তুষ সরকার গংদের বিরুদ্ধে একই এলাকার প্রভাবশালী লোকদের মাছ ধরে বিক্রির এ অভিযোগ উঠে। সোমবার বিকেলে কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের নাহারা পূর্ব পাড়া রাজেন্দ্র মিস্ত্রি বাড়ির পুকুরে সরেজমিনে গিয়ে মাছ ধরে নেয়ার এ দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয় অধিবাসী মাখন সরকার জানান, নাহারা গ্রামের উত্তর রাস্তা সংলগ্ন পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দুটি বিশাল প্রজেক্ট তৈরি করে মাছ চাষ করে আসছি। অন্যান্য রছরের ন্যায় প্রায় তিন/চার মাস পূর্বে ওই দুটি প্রজেক্টে দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ চাষ করি। কিন্তু হঠাৎ করে প্রান্তুষ সরকার গংরা রবি ও সোমবার দুদিন ওই দুটি প্রজেক্টের মাছ একই গ্রামের (বহিরাগত) প্রভাবশালীদের বিক্রি করে দেয়। এতে আমরা বাঁধা দিলে উল্টো আমাদের ভয় ভীতি প্রদর্শণ করে। এ ঘটনায় তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন অসহায় এই পরিবারগুলো।
সুমন সরকার, পরিমল সরকার ও ক্ষিরৎ সরকার, সমীর সরকার, বিধান সরকার ও অগ্নি সরকার আরো জানান, আমাদের জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রদীপ সরকার ও নিখিল সরকার গংরা বিজ্ঞ আদালতে পৃথক দুটি মামলা ও আমরা একটি মামলা দায়ের করেছি। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম. আখতার হোসাইন মজুমদারের মাধ্যমে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষ প্রদীপ ও নিখিল গংরা সালিশ বৈঠক না মেনে ওয়ারিশ সূত্রে ওই সম্পত্তি পাবে দাবি করে উল্টো আমাদের পুকুর ও জমিজমা দখল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো সমাধান না হওয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছি।
এদিকে প্রান্তুষ ও প্রদীপ গংদের জমি দখল চেষ্টা ও মাছ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন তারা।
কচুয়া প্রতিনিধি, ১৩ নভেম্বর ২০২৩