কচুয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১১৮নং বাঁচাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবনে মারাত্মক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাসে পাঠদান করছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ফলাফল অর্জন করে আসছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বিদ্যালয়টি ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে পূর্ন:নির্মান করা হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে জন ৬জন শিক্ষক ও ১২৬জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। ২০১৩ সালের ৪জুন ওই বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনা হলেও এখনো পর্যন্ত নতুন ভবন হয়নি। ফলে ওই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনিকক্ষে বড় আকৃতির ফাটল দেখা দেয়। ইতিমধ্যে শ্রেনি কক্ষে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ছাদের পলেস্তরা খসে খসে নিচে পড়ছে। বিভিন্ন সময় পলেস্তরার অংশ ফেটে শিক্ষার্থীদের গাঁয়ে পড়ায় আতংকিত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন।

বিদ্যালয়ের অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা জানান, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে নতুন ভবন নেই, নেই কোনো আধুনিক শৌচাগার ও ওয়াস ব্লক না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছি। কিছুদিন পূর্বে ক্লাসে পাঠদানের সময়ে ছাদ থেকে পলেস্তরা ধসে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকেন সবসময়। দ্রুত ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের দাবি জানান তারা।

স্থানীয় অভিভাবক স্বাধীন সরকারসহ আরো অনেকে জানান, প্রতিদিন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয়ে থাকি। কখন যে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে তা বলা যাচ্ছে না। তাই নতুন ভবন নির্মানের দাবি জানান অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহদেব চন্দ্র সরকার বলেন, বিদ্যালয়ে একটি ভবনে ৩টি কক্ষ রয়েছে। আমাদের মোট প্রাক-প্রাথমিক সহ ৬টি কক্ষ প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যালয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ভবন ঘোষনা দিলেও তা এখনো নতুন করে ভবন নির্মান করা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শ্রেনিকক্ষ সংকট,নেই আর্সেনিক মুক্ত টিউবওয়েল,শৌচাগার। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের তেমন চলাফেরা করতে অসুবিধা ও ক্লাসে ভয়ে ক্লাস করেন। নতুন ভবন নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মিথুন সরকার বলেন, আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে নতুন ভবন নির্মানের জন্য আবেদন নিবেদন করেছি। একটি মাত্র ভবন হওয়ায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুরাতন ভবনে পাঠদান চলছে। তবুও নতুন ভবন পাওয়ার আশায় স্বপ্ন দেখছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছিমা আক্তার বলেন, ইতিমধ্যে কচুয়া উপজেলায় কয়েকটি বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। ভবন নির্মানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে প্রতিবদেন পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১০ আগস্ট ২০২৩

Share