কচুয়ায় জরাজীর্ণ টিনসেট ঘরে চলছে মাদ্রাসার পাঠদান

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জরাজীর্ণ টিনসেট ঘরে পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে বৃষ্টির পানি পড়ে শিক্ষার পাঠ কার্যক্রম ব্যাহত হয়। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে ওই টিনসেটের নিচে পাঠদান নিচ্ছেন। অজো পাড়া গাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত ওই মাদ্রাসাটির এখন শুধু একটি নতুন একাডেমিক ভবন প্রয়োজন।

নতুন ভবন নির্মিত হলে পাল্টে যাবে মাদ্রাসার শিক্ষার মান ও চিত্র। বলছি কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের ফতেপুর ওল্ড স্ক্রীম দাখিল মাদ্রাসার কথা।

জানা যায়, ১৯৩৮ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩শ জন ও শিক্ষক-কর্মচারী ১২ রয়েছেন। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পূর্বাংশে একটি একতলা ভবন নির্মিত হয়। কিন্তু দক্ষিনাংশে জরাজীর্ণ টিনসেট ঘর থাকায় শ্রেনিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার মান কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বর্তমানে নতুন করে ওই মাদ্রাসায় একটি নতুন একাডেমিক ভবনের প্রয়োজন।

মাদ্রাসার সুপার এবিএসএম আব্দুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসার ফলাফল সন্তোষজনক হলেও দীর্ঘ কয়েক বছর বিভিন্ন চেষ্টা করেও একটি ভবন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে নতুন ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হিমসিম খাচ্ছি। বৃষ্টির সময় জরাজীর্ণ টিন ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে কখনো কখনো খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করাতে হচ্ছে।

মাদ্রাসার বিদ্যুাৎসাহী সদস্য ইখতেয়ার উদ্দিন বাদশা বলেন, কচুয়া উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন নির্মিত হলেও ফতেপুর ওল্ড স্ক্রীম দাখিল মাদ্রাসাটি অবহেলিত। আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে নতুন ভবন নির্মান এখন সময়ের দাবি। মাদ্রাসায় একটি একাডেমিক ভবন নির্মানে কচুয়ার সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

মাদ্রাসার সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন জানান, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই মাদ্রাসায় পাঠদানের জন্য ভবন না থাকায় নতুন ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশ্রাফ খান বলেন, যোগদানের পর থেকেই মাদ্রাসাটির ভবন না থাকায় জরাজীর্ন ভবনে পাঠদানের কথা শুনেছি। নতুন ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দফতরে অবহিত করা হবে।

প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু, ৭ এপ্রিল ২০২৩

Share