চাঁদপুরের কচুয়ায় কোরবানির ঈদকে (ঈদুল আজহা) সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বেচাকেনা। হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন। ক্রেতা বিক্রেতায় মুখর কচুয়ার প্রতিটি পশুর হাট। কচুয়া উপজেলায় ছোট ছোট বেশ কিছু খামারে পালন করা হয় দেশি-বিদেশি জাতের গরু। তবে এখানকার অধিকাংশ গরু, ছাগল স্থানীয় কৃষকেরা লালন পালন করেন। এসব গরু, ছাগল প্রাকৃতিক পরিবেশের লতাপাতা ঘাস খেয়ে বেড়ে উঠে।
কচুয়ার পালাখাল এলাকায় গরুর হাটে গরু কিনতে আসা আব্দুল মালেক জানান, বাজারে গরু বিক্রেতার চেয়ে ব্যবসায়ী আর দালালের উপস্থিতি অনেক বেশি। এ কারণে গরুর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।
সফিকুর রহমান নামের স্থানীয় একজন জানান, তিনি হাটে ৪টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে তিনটি গরু বিক্রি করেছেন। কোরবানির এখনো অনেক সময় বাকি থাকায় ক্রেতারা দরকষাকষি করছেন। সামনের হাটে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে জানান তিনি।
কোরবানি হাটকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রতিটি হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে স্বাভাবিক পোশাকে টহল দিচ্ছে পুলিশ। জাল টাকা শনাক্ত করতে ব্যাংক কর্মকর্তারা কাজ করছে পাশাপাশি রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত করতে হাটে রয়েছে পশু চিকিৎসক।
কচুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গরুর হাট কেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল রয়েছে। হাটে পশু বিক্রি করে বিক্রেতারা যেন অর্থ নিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে পুলিশ সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১২ জুন ২০২৪