বাড়ির ছাদে ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ডুমুরিয়ার এক ব্যাংক কর্মকর্তা। তার একতলা মার্কেট ভবনের ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি গাছের ডালে নানা জাতের ফল। তার এই সফলতায় ছাদবাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই।
কচুয়া উপজেলা ডুমুরিয়া বাজারে আব্দুল জলিলের শপিং সেন্টারের ছাদে ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান উল্যাহ পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে স্থাপন করেন ছাদ বাগান । তিনি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ডুমুরিয়া এজেন্ট শাখায় পরিচালক হিসেবে চাকরি করেন। এক বছর আগে নিজের মার্কেটের ছাদে ফলের বাগান শুরু করেন। এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় গত বছর সামান্য ফল আসলেও এবছর তার বাগানে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফল।
ছাদবাগানের মালিক ব্যাংক কর্মকর্তা আহসান উল্যাহ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, নিজ উদ্যোগে ছাদ বাগান করতে প্রায় ১লক্ষ ২০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। তার বাগানে ৯ জাতের আম, মাল্টা, কমলা, বেদানা, ড্রাগন, টমেটো, আমড়া, বড়ই সহ দেশি-বিদেশি প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। বর্তমানে অধিকাংশ গাছে ফল আসলেও বাকী গাছগুলোও মৌসুম অনুযায়ী ফল দিতে শুরু করেছে। এই ছাদ বাগানে আমাদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছে। তার এই ছাদবাগান দেখে উৎসাহী হয়ে বাগান করতে আগ্রহী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফারুকুল ইসলাম জানান, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা হয়েও আহসান উল্যাহ কঠোর শ্রম ও মেধা দিয়ে যে ছাদবাগান করেছেন। তাকে আমরা শুরু থেকেই সহযোগিতা ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। ফলে তার বাগানে দেশি-বিদেশি নানা ফলের গাছ ও ফল শোভা পাচ্ছে। আমাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং আমরা চেষ্টা করছি কচুয়া উপজেলার প্রতিটি বাড়ির ছাদের মালিকদের উৎসাহ দিতে। শুধু বাড়ির ছাদে নয়, কৃষকরা যাতে বাণিজিকভাবে এসব ফল চাষে এগিয়ে আসেন, সেজন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে। ব্যাংক কর্মকর্তা হয়েও কৃষির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে ছাদ বাগান গড়ে তুলেছেন আহসান উল্যাহ। তার এই ছাদকৃষি প্রত্যন্ত মানুষের কাছে এখন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩