কচুয়ায় গাভী ও ছাগল পালন করে ২ হাজার পরিবার স্বাবলম্বী

কচুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা নারীরা এখন আয় বর্ধন মূলক কাজ করে সংসারে বাড়তি আয়ের পাশাপাশি নিজেরা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন। উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের সফিবাদ গ্রামের নারগিস বেগম গাভী পালন এখন স্বাবলম্বী। ল্যাসিম কর্মসূচির আওতায় পোভার্টি ইরাডিকেশন প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার পরিবারকে সাবলম্বী করা হয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ে নারী কিংবা সুবিধা বঞ্চিতদের সাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন কেআইডিপি। বিদেশী দাতা সংস্থার সহায়তা এলাকার হতদরিদ্র নারী ও পুরষদের সাবলম্বী করা হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র ব্যবসা, ছাগল পালন, কৃষি কাজ, সবজি চাষ সহ নানান ভাবে সহায়তা করে আসছে এ সংস্থাটি।

উপকারভোগী নারগিছ বেগম ও আয়েশাসহ একাধিক লোকজন জানান, কেআইডিপি’র মাধ্যমে তারা নানান সুবিধা পেয়েছেন। বিশেষ করে খাদ্য,চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা,স্যানিটেশন ও চারা বিতরন করে আসছে তারা। গ্রামীন প্রান্তিক পর্যায়ে নারী সদস্যদের স্বাবলম্বী করতে যে উদ্যোগ নিয়েছেন এমন কাজে ও সহযোগিতা পেয়ে খুশি উপকারভোগীরা।

কেআইডিপি’র ইউনিয়ন মাঠ সমন্বয়কারী আব্দুল মতিন, ভারপ্রাপ্ত মাঠ সমন্বয়কারী ছৈয়দ হোসেন ও সুমন বলেন, শুধু গাভী কিংবা ছাগল নয় সককিছু হতদরিদ্রদের পাশে কাজ করে যাচ্ছি। সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিজের ক্ষমতায়নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে নারীরা। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি গ্রামে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সহায়তা করা হবে।

পোভার্টি ইরাডিকেশন প্রোগ্রামের জেলা মাঠ সমন্বয়কারী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, এ পর্যন্ত তিনটি ইউনিয়নের ১২টি গ্রামে ২ হাজার অসহায় মানুষকে সাবলম্বী করা হয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ে বসবাস করা জনগোষ্ঠী যারা অসহায় এবং দুস্থ তাদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য পিইপি’র সহায়তায় ওই বিশেষ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২০ জানুয়ারি ২০২৪

Share