চাঁদপুরের কচুয়ায় চলতি বছরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এ উপজেলা গমের আবাদ কম হলেও তবুও বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক। এদিকে কচুয়ায় প্রতি বছর দিনদিন কমে যাচ্ছে অন্যতম ফসল গমের আবাদ। অধিক ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় গমের পরিবর্তে ভুট্টা আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এক সময়ে কচুয়া উপজেলা প্রচুর পরিমানে গমের আবাদ হতো। কৃষকরা দাম পেয়েছিল ভাল। বর্তমানে খরচ কম ও অধিক লাভ হওয়ায় ভুট্টার আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নেয়াখালী,ফেনী,লক্ষীপুর,চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে কচুয়া উপজেলা ১০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। গমের আবাদ কম হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। দিন দিন কমে যাচ্ছে গমের আবাদ। আগামী মৌসুমে গম আবাদি জমির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিতারা গ্রামের গম চাষী আব্দুল কাদির চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, এক সময়ে এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া গম আবাদের জন্য বেশ উপযোগী ছিল। পাশাপাশি গম আবাদে উৎপাদন খরচ এবং পরিশ্রম বেশি লাগে। এসব কারণেই মূলত উপজেলায় প্রতি বছর গমের আবাদ কমে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সোফায়েল হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১০ হক্টের জমিতে গমের আবাদ করলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২১ মার্চ ২০২৩