কচুয়ায় খড়ের গাঁদা ও গাছ-গাছালি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার লতীফপুর গ্রামে জমি ক্রয় সংক্রান্ত শত্রুতার জের ধরে এক ব্যাক্তির খড়ের গাঁদায় আগুন, গাছ-গাছালি পুড়িয়ে দেয়া, জমি দখলে বাঁধা ও ওই পরিবারকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে নীরিহ বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ নাছির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, মাসুদ মিয়া গংদের অভিযুক্ত করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

থানায় বাদীর লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা লতীফপুর গ্রামের অধিবাসী নীরিহ বাচ্চু মিয়া চলাচলের স্বার্থে তার বাড়ি সংলগ্ন বশির উল্লাহর কাছ থেকে তিন শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন। ওই ভূমি বশির উল্লাহ একই গ্রামের সাহেব আলীর কাছ থেকে ক্রয় করেন। যা উভয়ের মধ্যে (সাহেব আলী ও বশির উল্লাহ’র) জমির রেকর্ড ভুল বুঝাবুঝি চলমান রয়েছে।

এদিকে বশির উল্লাহর কাছ থেকে নীরিহ বাচ্চু মিয়া ভূমি ক্রয়ের কারনে এতে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ নাছির গংদের স্বার্থে আঘাত লাগে এবং এ নিয়ে প্রতিপক্ষরা বাচ্চু মিয়ার পরিবারের সাথে কারণে-অকারণে বিভিন্ন সময়ে প্রভাব খাটিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। পাশাপাশি পর পর কয়েকবার ৩টি খড়ের গাঁদায় আগুন, পানির মটর চুরি, গাছ-গাছালী পুড়িয়ে দেয়াসহ ব্যপক ক্ষতি সাধন করে আসছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবী করেন। এনিয়ে গত সোমবার সকালে (১৫ই মে) বিবাদীদের সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে বাচ্চু মিয়ার উপর হামলা চালায়। এসময় তার দুই মেয়ে আছিয়া আক্তার ও জুলেখা আক্তার এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন।

নীরিহ বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন জানান, আমার বাবা পাশর্^বর্তী গ্রামের অধিবাসী সচিন্দ্র সরকারের জমি সন মেয়াদে ও বর্গা নিয়ে চাষ-বাস করে আসছে। এছাড়া একই গ্রামের বশির উল্লাহর কাছ থেকে তিন শতাংশ জায়াগা ক্রয় করেন। প্রতিপক্ষ গংদের এবং সাহেব আলীর ইন্দনে বশির উল্লাহ আমাদের জমি রেজিস্ট্রি করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষদের নানান হয়রানি, ভবিষ্যতে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি-ধমকি ও অত্যাচারের কারনে আমাদের পরিবার অতিষ্ঠ হয়ে আছি। জমি রেজিস্ট্রি, বিভিন্ন সময়ে হামলা-মারধর ও ক্ষতি সাধনের ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার পেতে স্থানীয় প্রসাশন, ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ নাছির উদ্দিনের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

কচুয়া প্রতিনিধি, ১৯ মে ২০২৩

Share