কচুয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গরু খামারীরা। কোরবানি ঈদ যতো ঘনিয়ে আসছে ততই খামারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কচুয়া-সাচার ও গৌরিপুর সড়কের বায়েক এলাকায় গড়ে তুলেছেন রেনেঁসা এগ্রো ফার্ম নামে একটি গরু খামার। তরুন উদ্যোক্তা জিয়াউদ্দিন মজুমদার যেমন উদ্যোক্তা হয়েছেন, তেমনি কর্মস্থান হয়েছে গ্রামের খেটে খাওয়া কয়েকজন শ্রমিকের।
ফার্মটির ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ন্যাচারাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের গরুদের দেশীয় গো-খাদ্য দিয়ে আসছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গরু গুলো বিক্রির সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে বলে জানান তরুন উদ্যোক্তা জিয়াউদ্দিন মজুমদার। কোনো খামারী বা ব্যবসায়ী কোরবানি গরু ক্রয় করতে ইচ্ছুক হলে ওই খামারে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন জিয়া উদ্দিন মজুমদার।
তরুণ উদ্যোক্তা জিয়া উদ্দিন মজুমদার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ২০১৮ সালে সাচার-গৌরিপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে বায়েক গ্রামে রাস্তার উত্তর পাশে মনোরম পরিবেশে একটি গরুর ফার্ম করা হয়। শুরুতে প্রায় বিভিন্ন জাতের শতাধিক গরু নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে অর্ধশতাধিক গরু রয়েছে। ওই খামারে গরুর জন্য ভালো মানের খাবার পরিবেশন করছি এবং মাঠের সবুজ ঘাস খেতে দিচ্ছি। আমরা আশা করছি, আসছে কোরবানি ঈদে এসব গরু বাজারজাত করব এবং বাজারমূল্যে বিক্রি করলেও আমরা অধিক লাভবান হব।
ফার্মের দায়িত্বরত শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাজাতকরন করা হচ্ছে। তবে কোরবানি ঈদে এই ফার্মের গরু গুলো বিক্রি করা হবে বলেও জানান তিনি। কেউ দেশীয় গরু ক্রয় করতে চাইলে ০১৬৭৮-০১৮৫৬৩ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছেন।
কচুয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাওকাত হোসেন সুমন বলেন, কচুয়া উপজেলা প্রচুর গো-চরণ ভূমি রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা বিভিন্ন খামার করে সাবলম্বী হচ্ছে। তবে এ উপজেলার সকল খামারীদের সার্বিক ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে কোনো তরুন উদ্যোক্তা গরু কিংবা অন্যান্য খামার স্থাপন করতে আগ্রহী হলে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ১৮ জুন ২০২৩