কচুয়া উপজেলার ১১নং গোহট দক্ষিন ইউনিয়নের কান্দিরপাড় গ্রামে বৃষ্টির পানিতে প্রায় ৩ কিলোমিটার কঁাচা রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। সড়কটি কান্দিরপাড় হয়ে বাইতুল আজিজ জামে মসজিদ ও দৌলতপুর নলুয়া বাজার হয়ে পাড়াগঁাও সড়কে মিলিত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার শত শত লোকজনকে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটি হয়ে উঠে কাদাপূর্ণ। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১১নং গোহট দক্ষিন ইউপি’র ৩নং ওয়ার্ডের কান্দিরপাড় গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দৌলতপুর হয়ে নলুয়া বাজার সড়কে মিলিত হয়েছে। একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কঁাচা রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরী কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়ী প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। তাছাড়া কান্দিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কঁাচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র ৩ কিলোমিটার কঁাচা সড়ক পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসী।
কান্দিরপাড় গ্রামের অধিবাসী মো. হাছান,আবুল হোসেন,রাকিবুল হাসান সহ একাধিক লোকজন বলেন, উপজেলার কান্দিরপাড় থেকে বাহিরে বের হওয়ার একটি মাত্র রাস্তা, তাও পাকা না থাকার কারণে অল্পবৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় । রাস্তাটি পাকাকরণ হলে আমাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় কোমলমতি শিক্ষার্থী মারুফ হাছান,আব্দুর রাহিম,খাদিজা আক্তার ও বাপ্পি হাছান বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটিতে কাঁদা হয়ে যায়। তখন আমরা বিদ্যালয়ে যেতে পারি না। প্রতিদিন কঁাদামক্ত রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে পড়ে গিয়ে আমরা আঘাত পাই। তাই রাস্তাটি পাকাকরনের দাবি করছি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল লিটন বলেন, ইতিমধ্যে উপজেলার কয়েকটি কঁাচা রাস্তা পাকাকরনের তালিকা মন্ত্রানলয়ে প্রেরন করা হয়েছে। ওই কঁাচা সড়কটি যদি তালিকা কিংবা সড়কের আইডি না থাকে তাহলে পরবর্তীতে সড়কটি পাকাকরনের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হবে।
প্রতিবেদক:জিসান আহমেদ নান্নু, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩