কচুয়ায় এক পরিবারের কাছে জিম্মি ২০ পরিবারের শতাধিক মানুষ

সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে বাড়ির চলাচলের পথ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবন্ধকতাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের কচুয়ার শংকরপুর গ্রামে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে বুধবার স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগী ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়ার তেগুরিয়া-বাইছারা সড়কের শংকরপুর গ্রামের ফকির বাড়ির সামনের রাস্তায় শতশত নারী-পুরুষ ওই গ্রামের সফিউল বাশারের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগমের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল বের করেন।

প্রতিবাদ সভায় ভোক্তভোগী হামলার স্বীকার নুরুল ইসলাম বাবু’র পরিচালনায় বক্তব্য দেন, বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের স্বীকার সফিউল বাশারের বোন নুরজাহান বেগম, লুৎফা বেগম, স্থানীয় মোড়ল আব্দুস সামাদ মাস্টার, নির্যাতনের স্বীকার রুশিয়া বেগম, অজুফা বেগম, জাহানারা বেগম, মরিয়ম আক্তার, দেলোয়ার হোসেন, শহিদ উল্যাহ তার পুত্র হাসান মিয়া।

ভোক্তভোগীদের দাবী সফিউল বাশারের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কারণে অকারণে বিভিন্ন সময়ে গ্রামের সহজ সরল লোকজনের সাথে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ শারিরিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন।

তার নির্যাতন ও অত্যাচারের ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে পারেন নি। কেউ প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ইয়াসমিন বেগম প্রতিবেশি শহীদ উল্যাহ’র চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ায় নীরিহ শহিদ উল্যাহ তার স্ত্রী অজুফা বেগম ও পুত্র হাসান মিয়াকে নিয়ে সাচার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। এছাড়া ঈদের কয়েক দিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সফিউল বাশার গংরা একই বাড়ির নুরুল ইসলাম বাবুর গৃহে জোর পূর্বক প্রবেশ করে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। এসময় বাধা দিলে নুরুল ইসলাম বাবুর মা কুলসুমা বেগম ও প্রতিবেশী জাহানারা বেগম এর উপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম বাবুর দায়েরকৃত মামলায় সফিউল বাশারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কচুয়া থানা পুলিশ।

বর্তমানে শফিউল বাশারের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে শংকরপুর গ্রামের অধিবাসী নুরুল ইসলাম বাবু, আকতার হোসেন, সামছুল হক, স্বপন, হোসেন, হাসান, হানিফ, গনি মিয়া, কাজল মিয়া, মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে চাঁদপুরের মোকাম বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা দ্রুত প্রত্যাহারসহ ইয়াসমিন বেগমের হাত থেকে ফকির বাড়ী ও আশেপাশের লোকজনকে হয়রানী থেকে মুক্তি দিতে ড. সেলিম মাহমুদ এম.পি, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

অভিযুক্ত ইয়াসমিন বেগমের বক্তব্য জানতে তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পালাখাল মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মজুমদার বলেন, আমার ইউনিয়নের শংকরপুর ফকির বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্রকরে বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠক করেছি। কিন্তু একটি পক্ষ না মানার কারণে তা স্থায়ীভাবে সমাধান করা যায়নি।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২০ জুন ২০২৪

Share