চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভাধীন কোয়া-চাঁদপুর গ্রামে অবস্থিত কোলাহোল মুক্ত সুন্দর মনোরম পরিবেশে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়চ্ছে জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ ও এতিমখানা। অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মো. খোরশেদ আলম কোম্পানি দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়াতে এ মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে বাংলাদেশ হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে কৃতিত্ব অর্জন করে আসছে।
জানা যায়, ১১জন তরুন দক্ষ শিক্ষক দ্বারা মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। নূরানী,নাজেরা,হিফ্জ বিভাগ,বাংলা-ইংরেজিসহ বিভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা এ এতিমখানা পড়াশোনা করে আসেছ। ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে ১৫০জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন এবং তন্মধ্যে ৩০জন শিক্ষার্থী এতিম রয়েছে। এতিমদের ফ্রি পড়াশুনা ও সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০জন শিক্ষার্থী হাফেজ হয়ে বের হয়েছেন। বর্তমানে কচুয়া কওমী মাদ্রাসার আওতায় ২১জন শিক্ষার্থী কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও সিনিয়র শিক্ষক হাফেজ মোশারফ হোসেন জানান, কোয়া-চাঁদপুর গ্রামের অধিবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ¦ খোরশেদ আলম এ এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন। একমাত্র দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়েছে। এখানে আন্তর্জাতিক মানের হিফ্জ কোরআন বিভাগ, নাজেরা বিভাগ, প্রি-ক্যাডেট, মক্তব বিভাগসহ আধুনিক শিক্ষার জন্য বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। ভবিষ্যতে জেলা কিংবা দেশের মধ্যে সেরা দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২০ মার্চ ২০২৫