কচুয়ায় অপারেটর নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু

কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মেঘদাইর তাহেরীয়া ফাজিল মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কে.এম সোহেল রানা তদন্ত করেন।

সূত্রে মতে, নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী তামীম আক্তার মীম বাদী হয়ে পূর্ন পরীক্ষা গ্রহন কিংবা পূনরায় খাতা মূল্যায়ন করে র্প্রাথী নিয়োগের দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি,শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা সচিব বরাবর পৃথক ভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এদিকে প্রার্থী মোসা: তামীম আক্তার মীমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর (চট্টগ্রাম) শাখার পরিদর্শক (সহযোগী অধ্যাপক) মোসাম্মৎ ফেরদৌসী আলম) স্বাক্ষরিত ১৯ জানুয়ারি কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ওই বিষয়ে তদন্তপূর্বক বিষয়টি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশনা প্রদান করেন। যার স্মারক নং- ৫৭.২৫.০০০০.০১০.২২.০০১.২০.৯৪।

বিষয়টি তদন্তে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিদের্শনা প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম মো. সোহেল রানাকে নির্দেশ প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান। তদন্ত এর জন্য মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসা সভা কক্ষে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন এবং নিয়োগ বোর্ডে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে আলোচনা করেন। এদিকে অভিযোগকারীর কথা শুনেন ও বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করেন। এসময় মাদ্রাসার সভাপতি অ্যাড. দেলোয়ার হোসেন পাটওয়ারী,মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ.কে.এম গোলাম মোস্তফা,শামছুল আলম,অ্যাড. কামাল হোসেন পাটওয়ারী,মিজানুর রহমান,বুলবুল আহমেদ,মো. বাবুল,আব্দুল মতিন,সোলেমান মুন্সী,রুবেল আহমেদ,শাহজালাল,ইউপ সদস্য আব্দুল মান্নান মনু সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর তাহেরীয়া ফাজিল মাদ্রাসার ‘নবসৃষ্ট পদ’ অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেট একটি পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

পরবর্তীতে ১৯ নভেম্বর ওই মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষায় ৫জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। এতে প্রার্থী মোসা: তামীম আক্তার মীম প্রথম স্থান অধিকার করে দাবি করা হলেও বোর্ডের প্রতিনিধি, মাদ্রাসার গর্ভনিংবডির সভাপতি ও অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকগন অনিয়ম ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থী মো. ফারুক হোসেনকে প্রথম স্থান দেখিয়ে নিয়োগের সুপারিশ প্রদান করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, ঐতিহ্যবাহী মেঘদাইর তাহেরীয়া ফাজিল মাদ্রাসার নবসৃষ্ট পদ অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেট পদে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানান।

কচুয়া প্রতিনিধি, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Share