ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক যুগের পুরাণো ভবনের নিচে জীবনের ঝুকি নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনের নিচে পাঠদান করতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। গত কয়েক বছর ধরে এমন বেহাল চিত্র যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ ভবনের ছাদের অনেক অংশ খশে পড়ছে। খশে পড়ছে দেয়ালের আস্তরও। একটু বৃষ্টি হলেই পুরো ছাদ ঘেমে পানি পড়ে। ক্লাশ করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
ভবনটি এতই দুর্বল মনে হয়, যে কোন সময় ধশে পড়তে পারে। আর এ আতংকের মধ্যেই প্রতিদিন পাঠ দান করতে হয় শিক্ষার্থীদের ।
শ্রীকালিয়া এলাকায় এমন কোন ধনভান নেই যে কিনা বিদ্যালয়ের সাময়িক ভাবে হলেও বিকল্প প্রদ্ধতিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাশ রুমের ব্যবস্থা করে পাঠদানে সহযোগিতা করবে। এখন বর্ষার সময় যে কারণে বৃষ্টি লেগেই থাকে আর তার মধ্যে বৃষ্টির পানি শ্রেণি কক্ষে ঢুকে পড়ে এবং কচি-কাচা শিক্ষার্থীদের ক্লাশ রুমে পানি পড়ে।
সেই সাথে প্রতিনিয়ত চাদের ও দেয়ালের আস্তর ভেঙ্গে বালি শিক্ষার্থীদের চোখে ও মাথার ওপর পড়ে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, উপজেলা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট বার বার আবেদন করেও এ বিষয়ে কোন সাড়া মেলেনি।
বিদ্যালয়ের ক’জন শিক্ষার্থীর সাথে আলাপ হলে তারা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনের চাদ ও দেয়াল থেকে বালু বের হয়। বৃষ্টি হলে টিপ টিপ করে পানি পড়ে। আমাদের বই ভিজে যায়। আমরা খুব কষ্ট করে পড়ালেখা করতে হয়। আমাদের এ ভাবে পড়ালেখা করতে ভয় লাগে। আমরা নতুন ভবন চাই।
এ বিষয়ে যথাযথ কতৃ পক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছে বিদ্যালয়ের কচি-কাচা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তা না হলে যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে শতাধিক কচি প্রাণ অকালেই ঝরে যেতে পারে। তাই অতি দূত বিদ্যালয়টি সংস্কার জরুরি হয়ে পড়ছে।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়,
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ০০ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সোমবার
এইউ