চাঁদপুরের কৃতিমানদের একজন ও মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘ ৪০ বছরের প্রধান শিক্ষক দেশবরণ্য শিক্ষাবিদ, স্বাধীনতা পদকসহ বিভিন্ন পদকে ভূষিত এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ওয়ালী উল্যাহ পাটওয়ারী।
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী অত্যন্ত নিরবে আর অবহেলার মধ্যেই চলে গেল। তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মস্থলের স্কুলটির শিক্ষক, ম্যনেজিং কমিটি ও প্রাক্তন ছাত্র সমিতির কেউই খবর রাখলো না ।
এ ব্যাপারে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রাক্তন ছাত্র আঃ রব বলেন, যিনি মতলবের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো জ্বেলে মতলবকে বিশ্বব্যাপী চিনিয়েছেন, যিনি ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘদিন মতলবগঞ্জ জেবি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন, ছিলেন রেক্টরও।
যিনি মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, মতলব ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠায় যিনি অন্যন্য অবদান রেখেছেন।
যিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পদক স্বাধীনতা পদক পেলেন, ১৯৬১ সালে তৎকালিন পাকিস্তানের শিক্ষায় সর্বোচ্চ পদক পেয়েছিলেন, সে ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকীর কেউ খবর রাখলো না তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র রাজনীতিবিদ মোল্লা মোঃ জকির হোসেন বলেন, যার অবদান বলে শেষ করা যাবে না, ওনার মতো মানুষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয় না তা যেজন্য খুবই দুঃখ পেলাম। আমি এ জন্য প্রথমত প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির অবহেলা এবং এ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির দায় কম নয় বলে মনে করি।
আরেক প্রাক্তন ছাত্র প্রকৌশলী আবদুর রহিম অত্যন্ত দুঃখ করে বলেন, এই কিংবদন্তি আলোকিত মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকী পালনে তাঁর পরিবার কিংবা দীর্ঘদিনের কর্মস্থলের স্কুলটির শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও প্রাক্তন ছাত্র সমিতির ব্যর্থতাই নয়, এক্ষেত্রে নিজেকেও ব্যর্থ মনে করছি।
তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী শুধু আনুষ্ঠানিকতাই নয় বরং নতুন প্রজন্মকে ওনার সর্ম্পকে জানানো ও তাঁর অবদানের কথা জানানো হলেও তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট এই দেশবরণ্য শিক্ষাবিদ ইন্তেকাল করেছিলেন।
প্রতিবেদক- মাহফুজ মল্লিক
: আপডেট, বাংলাদেশ ২: ৪০ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বুধবার
ডিএইচ