Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কক্ষ দখল করে ওয়ার্ড মাস্টারের বসবাস
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কক্ষ দখল করে ওয়ার্ড মাস্টারের বসবাস

চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কক্ষ দখল করে ওয়ার্ড মাস্টারের বসবাস

চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ৩য় তলার ৩১১নং কক্ষ অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করছেন ওয়ার্ড মাস্টার মনির হোসেন।

কক্ষটিতে তিনি সরকারি বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে এসি, রান্নার হিটার ব্যবহার করছেন। হাসাপাতালের স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ক্ষতি করে রান্নার জন্যে ব্যবহার করছেন সিলিন্ডার গ্যাস।

আবাসনের জন্যে যা কিছু করণীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করে নিয়েছেন তিনি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনেকেই বিষয়টি না দেখার ভান করে কোন অজ্ঞাত কারণে দিনের পর দিন চুপ করে থাকায় তা নিয়েই হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে হাপাতালের ৩য় তলায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পশ্চিম দিকের ভবনের ৩য় তলায় তত্ত্বাবধায়কের কক্ষের পশ্চিম দিকে কলাপসিপল গেট দেওয়া একটি সুরক্ষিত পৃথক এরিয়া। গেট দিয়ে প্রবেশের পর দেখা যায় মনির হোসেন কক্ষটি বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান করছে।

ভেতরে প্রবেশের পর দেখা যায় খাওয়া ও রান্নাবান্না করার সকল ব্যবস্থা।

এ বৃহৎ কক্ষটি তিনি কোন হিসেবে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে আপনারা হেড ক্লার্কের (উচ্চমান সহকারী) সাথে আলাপ করেন। সাথে সাথে মনির হোসেন হেডক্লাকের অফিস কক্ষে চলে যান।’

এ বিষয়ে হেড ক্লার্র্ক সফিকুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘এটা কোন কোয়ার্টার না। যে এখানে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দিয়ে থাকতে হবে। মনিরকে কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেওয়াতেই সে থাকছে।’

হাসপাতাল ভবনের একটি কক্ষ দখল করে মাসের পর মাস সরকারি বিদ্যুৎ ব্যয় করে এসি ও হিটার ব্যবহার করার কোনো নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ রকম অনেকই থাকে তিনি (মনির মাস্টার) তাহলে থাকবে কোথায়?’

পরে তিনি মনির মাস্টারের পক্ষে নানা সাফাই বলতে থাকেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার দত্ত চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘সে অনেক আগে থেকেই এ রুম ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া তার কক্ষে এসি লাগানো বা হিটার ব্যবহার করার বিষয়টি আমি জানি না। আমি বিষয়টি দেখবো।’

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনির হোসেন এ হাসপাতালে এম এলএসএস পদ হতে চলতি দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ওয়ার্ড মাস্টার হয়েছেন। তাঁর সেচ্ছাচারিতার বিষয়টি হাসপাতালের অনেকের কাছে আলোচিত। যেখানে হাসপাতালে রোগীদের থাকা সংকটসহ চিকিৎসা সেবা দিতে পর্যাপ্ত কক্ষ সংকট রয়েছে। প্রায়ই অনেক রোগী মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা নিতে দেখা যায় । সেখানে একজন ওয়ার্ড মাস্টার একাই একটি কক্ষ দখল করে এসি ও হিটার ব্যবহার করছেন।

প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
: : আপডেট, বাংলাদেশ ১১: ০৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ শনিববার
ডিএইচ

Leave a Reply