বাড়িতে ওয়াইফাই না থাকায় বিয়ের চার মাসের মধ্যে তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ফারহানা খাতুন (১৫) নামে এক কিশোরী বধূ।
১০ মে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফারহানা খাতুন গাংনী উপজেলার মিনাপাড়া গ্রামের ইকতিয়ার হোসেনের স্ত্রী।
বর্তমানে ফারহানা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফারহানার স্বামী ইকতিয়ার হোসেন বলেন, আমি মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম, ফিরে এসে দেখি ফারহানা ঘরের মধ্যে বসে ঢুলছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে ‘তোমার সব ওষুধ এক সঙ্গে খেয়ে ফেলেছি।সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
তিনি আরও বলেন, এর আগেও দুবার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে।
১৫ দিন আগে গরুর জন্য আনা ওষুধ (অনেকগুলো বড়ি) এক সঙ্গে খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ইকতিয়ার বলেন, আমি বিএ পাশ করেছি কিন্তু কোনো চাকরি পাচ্ছি না। এর মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আমাদের। কিছুটা হতাশাগ্রস্ত আমি। আমার মাথায় বেশ যন্ত্রণা হয়, এ কারণে মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যন্ত্রণার কমানোর জন্য ডাক্তার আমাকে কিছু ওষুধ খেতে দেয়। গত রাতে ফারহানা মিনারিল প্লাস, ভাটিনর ও ইসিপপ্লান বড়ি এক সঙ্গে খেয়ে ফেলে।
আত্মহত্যার চেষ্টার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাড়িতে ওয়াইফাই নিতে বলেছিল ফারহানা তা না নেওয়ায় রাগে সে এ কাণ্ড করেছে।
ফারহানার মা সোনিয়া খাতুন বলেন, মেয়ের বয়স মাত্র ১৪ বছর। তার শরীরে রাগ বেশি। কোনো কিছু বললেই সে পাগলামী শুরু করে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বোধাদীপ্ত দাশ পিকলু (বিডি দাশ) জানান, বর্তমানে ফারহানা আশঙ্কামুক্ত। তার পেট ওয়াশ করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সুস্থ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
বার্তা কক্ষ, ১১ মে ২০২২