মদ বা সিগারেট নয়, গলার ক্যান্সারের জন্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ওরাল সেক্স, এমনই দাবি চিকিৎসকদের। সম্প্রতি ধূমপানকে পেছনে ফেলে মুখ ও গলার ক্যান্সারের জন্যে ভয়াবহ বার্তা বয়ে এনেছে ওরাল সেক্স। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিডিই হল এই ব্যাধির প্রধান সংক্রামক। চলতি বছরের নভেম্বর মাস জুড়ে ‘মাউথ ক্যান্সার এ্যাকশন’ মাস হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে এবং আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত প্রায় এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী যৌন অভ্যাসের ব্যাপক পরির্তনের ফলে ওরাল সেক্সের প্রতি মানুষের আসক্তি বেড়েছে। যে কারণে সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে এইচপিভি বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার, এই ভাইরাস ছড়ায় খুবই দ্রুত। তাদের মতে, শরীরের ভিজে জায়গায় এই ভাইরাসের প্রকোপ বেশি। অবাধ যৌনতার কারণে মুখ, পায়ুপথ, যোনি ও গলায় এর সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
লক্ষণ
দীর্ঘদিন ধরে মুখের ক্ষত না শুকানো, দীর্ঘদিন ব্যথা অনুভূত হওয়া, মুখের ভেতরে ও গলার ভেতরে সাদা বা লাল ছোপ ছোপ পড়া, ঢোক গিলতে সমস্যা হওয়া, গলায় দলা হওয়া, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বা বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া ওজন কমে যাওয়া।
পরামর্শ
চিকিৎসকদের পরার্মশ হল, ওরাল সেক্সের সময় অবশ্যই কন্ডম ব্যবহার করা। এতে পুরুষাঙ্গের ও মুখের মধ্যে এক ধরনের আড়াল বজায় থাকবে। আবার অনেক সময় যোনির উপর ল্যাটেক্সের চারকোনা টুকরা ব্যবহার করেও এটা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
অক্সফোর্ড অনলাইন ফার্মেসির চিকিৎসক হেলেন ওয়েবারলি জানিয়েছেন, বেশকিছু যৌনাঙ্গের ক্যান্সার যেমন, ভলিভ্যাল, সার্ভিক্যাল, পেনাইল এবং এ্যানাল ক্যান্সারের সাথে ক্যান্সারবাহী ওয়ার্ট ভাইরাসের যোগসূত্র থাকে। স্বাভাবিকভাবেই মুখের ক্যান্সারের পেছনেও এ ভাইরাসের অবদান সম্ভব। তাই প্রতিষেধক হিসেবে ওরাল সেক্সের সময় কন্ডম অথবা মুখে নিরাপত্তা আড়াল তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৫:১৬ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur