নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির ঢেউ সামলানোর জন্য বিশ্বের সব দেশ প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক ড. তাকেশি কাসাই বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে খবর এই মুহূর্তে আমরা পাচ্ছি, প্রকৃত চিত্র তার থেকেও ব্যাপক। ভৌগলিকভাবে ওমিক্রন ইতোমধ্যেই অনেক বেশি ছড়িয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ আসার আশঙ্কার জন্য সব দেশকে তৈরি থাকতে বলেছেন ড. কাসাই।
তিনি বলেছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে যেসব শিক্ষা আমরা পেয়েছি নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় তা কাজে লাগাতে হবে।
এদিকে ভ্রমণের ওপর ঢালাও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কোনো দেশ এই ভ্যারিয়েন্টের ঢোকা শুধু বিলম্বিত করতে পারবে, কিন্তু তা একেবারে ঠেকাতে পারবে না বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচ‘র আপদকালীন আঞ্চলিক পরিচালক ড. বাবাতুন্ডে ওলউকুরে বলেছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশাল সংখ্যক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বর্তমানে একযোগে কাজ করছে। তবে এখনও পর্যন্ত তারা এমন কোনো তথ্য পায়নি, যার জন্য এই মহামারি মোকাবিলায় এই মুহূর্তে নতুন দিক নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, প্রতিটি দেশ যেন তাদের নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সংক্রমিতদের ট্রেস করা, আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা এবং টিকাদান অব্যাহত রাখার মতো বর্তমান পদক্ষেপগুলো জোরদার করে।
ড. কাসাই স্কুল খোলা রাখার ঝুঁকিগুলো মূল্যায়ন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন।
গত সপ্তাহে ওমিক্রনকে “উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট” ঘোষণা করা হয়।
ভাইরাসের এই ধরনটি আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বর্তমান টিকা এই ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে কতটা কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।