ওমিক্রনের কারণে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল

ফ্লাইট বাতিল এবং সীমান্তে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে লাখ লাখ মানুষের ক্রিসমাস উপলক্ষে পরিকল্পিত ভ্রমণ বিঘ্নিত হয়েছে। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এ বিধিনিষেধের সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি গত সপ্তাহের শুরুতে সবাইকে সতর্ক করেছিলেন যে, ক্রিসমাসে ভ্রমণ পূর্ণ ডোজ টিকাপ্রাপ্তদের মধ্যেও ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলবে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ফ্লাইটএওয়ার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় গতকাল শুক্রবার হাজার হাজার উৎসব র‍্যালি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সিডনি এবং মেলবোর্ন থেকে অন্যান্য শহরে ১০০ টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। উত্তর স্পেনের কাতালোনিয়ায় রাতারাতি কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং নেদারল্যান্ডস কঠোর লকডাউনে রয়েছে।

ক্রিসমাসের প্রাক্কালে এসে গতকাল ইউএস এয়ারলাইনস বলেছে, ফ্লাইট ক্রুদের অনেকে করোনা পজিটিভ হওয়ায় তাঁদের আইসোলেশন-হাসপাতালে পাঠানোয় কর্মী সংকটে ভুগছে। এই প্রভাবের কারণে অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তবে ফ্লাইট বুকিং করা যাত্রীরা বিমানবন্দরে আসার আগে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।

ওমিক্রন পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে এই নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করা হবে। হোয়াইট হাউস বিবিসিকে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩১ ডিসেম্বর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সম্পর্কে উদ্বেগের কারণে আটটি আফ্রিকান দেশের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ২৯ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, এসওয়াতিনি, মোজাম্বিক এবং মালাউই থেকে ভ্রমণকারীদের জন্য এ অবরোধ আরোপ করা হয়। ইতালি, স্পেন এবং গ্রিস আবারও মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে।

এত কিছুর মাঝেও বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ইতালিতে রেকর্ড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক ওমিক্রন শনাক্তের হার ডেলটা তরঙ্গের চূড়াও ছাড়িয়ে গেছে এবং সারা দেশে হাসপাতালগুলি পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ওমিক্রনকে খুব বেশি ক্ষতিকর বলে প্রমাণ না পেলেও বিজ্ঞানীরা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

প্রসঙ্গত, আজ ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিন। খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিবসটি পালন করা হয়। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটি উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন করেন। কেক কাটা ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয় খ্রিষ্টান পরিবারগুলোতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের গির্জাগুলোতেও দেখা যায় বর্ণিল সাজের ক্রিসমাস ট্রি। বাংলাদেশে এই দিনে সরকারি ছুটি।

Share