সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার বড়রামপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের। বাবা মোশাররফ হোসেন ছিলেন শিক্ষক। বসুরহাট এএইচসি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি।পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
তবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন কলেজ জীবন থেকে। ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তোরের গণআন্দোলনে রাখেন সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধেও। রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিকবার কারাবরণও করেন।
ওবায়দুল কাদের একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুজিব বাহিনীর কোম্পানীগঞ্জ থানার কমান্ডার ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের বিয়োগান্ত ঘটনার পর ওবায়দুল কাদের কারাবরণ করেন। আড়াই বছর তিনি কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।কারাগারে থাকার সময় তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। পরপর দুইবার তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতি ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০০২ সালে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ পদে ছিলেন তিনি। এ পদে থাকার সময়ই তিনি এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ মার্চ গ্রেপ্তার হন। ওয়ান ইলেভেনের পর তিনি ১৭ মাস ২৬ দিন কারাবরণ করেন।
নোয়াখালী থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের।
শুধু রাজনীতি নয়, লেখালেখিতেও সময় দেন এই রাজনীতিক। দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। রচনা করেছেন আটটি গ্রন্থ।
২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর মহাজোট সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী হন ওবায়দুল কাদের। বর্তমানে এটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিচিত।(প্রিয়.কম)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:০৭ পি,এম ২৩ অক্টোবর ২০১৬,রবিবার
ইব্রাহীম জুয়েল