মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা বন্ধ ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওআইসির সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানার প্যালেস অব ইন্ডিপেনডেন্সে অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
নিজ দেশে বারবার অত্যাচারের শিকার হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঠিক একই কারণে বিপুলসংখ্যক অসহায় রোহিঙ্গার বোঝা বহনের মতো মারাত্মক সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের ওপর ‘সরাসরি বিরূপ প্রভাব’ সৃষ্টি করেছে দাবি করে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, রাখাইন রাজ্যে তাদের ভিটেমাটি থেকে নির্মমভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। প্রাণ রক্ষায় পার্শ্ববর্তী দেশে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।
মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ওআইসি সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘নিজ দেশের নাগরিকত্বসহ সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমি আপনাদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই রোহিঙ্গারা উপর্যুপরি নির্মমতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার।’
মিয়ানমারের এই সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। সম্মেলনে ওআইসি সদস্যদেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা অংশ নিয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ ০১ : ০০ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সোমবার
এইউ