একটি পতাকাই একটি জাতির অস্তিত্বের প্রতীক। আজকের এই দিনে বাঙালিরা সমস্ত পৃথিবীর সামনে ঘটিয়েছিল এক বিরল ঘটনা। নিজের অধিকার আর অস্তিত্বকে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তুলে ধরেছিল বিশ্বের সামনে।
হাজার বছরের বাঙালির যে সংগ্রাম তারই চূড়ান্ত একটি পর্যায় লাল সবুজের এই পতাকা। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোটি জনতার আবেগ আর অনুভূতি।
নিষ্পাপ মুখ এই সরল শ্রদ্ধা আর সবটুকু ভালবাসা নিজের পতাকার জন্য। আর এই জাতীয় পতাকার সাথে মিশে আছে একটি দেশের জন্মের ইতিহাস আর সংস্কৃতি।
১৯৭১ সালের দোসরা মার্চ। তৎকালীন ছাত্র নেতাদের ডাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের বটতলায় জড়ো হয় লক্ষ জনতা। সেই সভায় প্রথমবারের মত লাল সবুজের মাঝে সোনালী মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হলে উপস্থিত ছাত্র জনতা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো এলাকা। আর এর মাধ্যমেই বাঙ্গালি বলে দিয়েছিলো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যেন তাদের শেষ সিদ্ধান্ত।
পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন-সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
তবে বর্তমানে জাতীয় পতাকার ব্যবহারে দেখা যায় অযত্ন আর অবহেলা। আইন থাকলেও তা মানা হয় না অনেক সময়। জাতীয় পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এ বলা আছে, ইচ্ছা করলেই যে কেউ গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারেন না। পতাকা এমনভাবে ব্যবহার করা যাবে না যাতে তা নষ্ট হয়। রাজনৈতিক প্রচারণাতেও পতাকা ব্যবহার একটি অপরাধ।
তৎকালীন ছাত্র নেতা নূর এ আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পতাকা শুধু এক টুকরো কাপড় নয়, এটি হচ্ছে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এখনও পতাকার মর্যাদা ঠিকমতো রক্ষা হচ্ছে না। যাদের রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের প্রতি এটি একটি নিদারুণ উপেক্ষা।’
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১: ৩০ পি.এম ২মার্চ ২০১৮ শুক্রবার।
কে .এইচ