দীর্ঘদিন ধরে অর্থ সংকটে ভুগছিলেন আবুল খায়ের (৩৫)। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে স’মিলের কাজ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! সৌদি আরবে যাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আবুল খায়ের।
বুধবার (১ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে সৌদি বিমান বন্দর থেকে টেক্সি ক্যাবে করে বাসায় ফেরার পথে হাইল প্রদেশের তাবুক রোডের দিলহান এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় খায়েরসহ দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।
নিহত খায়ের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনার দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি বুধবার সকাল ৮টার দিকে সৌদির উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
একই দুর্ঘটনায় নিহত অপরজন হলেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার দুলাল হোসেন (৪০)। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে খায়েরের মৃত্যু সংবাদ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে শোকের মাতম শুরু হয়। এসময় তার বৃদ্ধ বাবা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন। অবতারণা হয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের।
খায়েরের বড়ভাই আবুল কাশেম জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অর্থ সংকটে ভুগছিল খায়ের। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে স’মিলের কাজ ছেড়ে সৌদিতে যায়।
খায়েরের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার রুপা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার অবুঝ মেয়ের এখন কী হবে। আমরা কার কাছে গিয়ে দাঁড়াবো। আমাদের চারপাশে শুধুই অন্ধকার।
এসময় খায়েরের মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা চান তিনি।
রায়পুরের চরমোহনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, খায়ের পরিশ্রমী ছিল। তার পরিবারটি দরিদ্র। নিত্য অভাবের সংসারে ধার-দেনা করে সে বিদেশ গেলো। তার মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে ও ক্ষতিপূরণ পেতে সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হবে।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১: ০০ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৭, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ