বিশেষ সংবাদ

এসপি বাবুল-মিতুর বিয়ের পেছনের গল্প

চট্টগ্রামের এসপি বাবুল আক্তারের সঙ্গে ২০০২ সালে তৎকালীন ঝালকাঠির পরিদর্শক মোশাররফ হোসেনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার মিতুর বিয়ে হয়। বর্তমানে ওসি মোশাররফ অবসরে।

পটুয়াখালীর বাউফলের কাশিপাড়ায় গ্রামের বাড়ি হলেও অবসরকালেই ঢাকার খিলগাঁও মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়ায় (বাসা নং ২২০/এ) বাড়ি করেন মোশাররফ। সেখানেই মূলত মেয়ে মিতু ও জামাই বাবুলের যাতায়াত ছিল বেশি। ছেলে তাপু ও মেয়ে মাহিকে নিয়ে সুখেই চলছিল মিতু-বাবুলের সংসার। কিন্তু রোববার সকালে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও গুলিতে চট্টগ্রামে নিহত হন মিতু।

আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগের কথা। একই জেলায় পুলিশে চাকরি করতেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াদুদ ও পরিদর্শক (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন। সেই সুবাদেই সহকর্মী ওয়াদুদের ছেলে বাবুল আক্তারের সঙ্গে পরিচয়। তার আচার-আচরণে মুগ্ধ হয়েছিলেন মোশাররফ। তিনি সিদ্ধান্ত নেন বড় মেয়ে মাহমুদা আক্তার মিতুর সঙ্গে তার বিয়ে দেবেন। ঊর্ধ্বতন সহকর্মীর মনোভাব শুনে খুশি হন ওয়াদুদও। এরপরই বিয়ে। বিয়ের পর বিসিএস দিয়ে পুলিশে যোগদান করেন বাবুল আক্তার।

মিতুর বড় খালা মমতাজ বলেন, “মোশাররফ ঝালকাঠিতে থাকতে এসআই ওয়াদুদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। ওয়াদুদের অনেক গল্প আমরা শুনেছিলাম। সেই থেকে বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। ওয়াদুদের ছেলে বাবুলকে দেখে মোশাররফের খুব পছন্দ হয়। এরপরই বড় মেয়ে মিতুর সঙ্গে বিয়ের কথা ভাবেন। সহকর্মীর সঙ্গে কথাটা শেয়ার করার পর তিনিও মত দেয়ায় পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বাবুল ও মিতুর।

প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, পরিকল্পিত এবং টার্গেট করেই এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে (৩২) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আগে থেকে তার (মাহমুদা খাতুন মিতু) গতিবিধি লক্ষ্য এবং নজরধারী করছিল সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডের প্রাথমিক আলামত দেখে এ ধারণা করছে গোয়েন্দা কর্মকর্তার

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০০ এএম, ১৩ জুন ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ

Share