সমমানের জন্য ৮৪ দিনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করার পর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে দুই পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সরকারও পরীক্ষা নিতে চায় না। দেরিতে হলেও এবারের দুই পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।
করোনার এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়ার করার পরামর্শ দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতি সহনীয় হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের ১৫ দিন সময় দিয়ে পরীক্ষার সূচি দেওয়া হবে।
দেশে করোনা হানা দেওয়ায় গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া গেলেও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। পরে অটোপাস দেওয়া হয়েছে।তবে এবার দুটি পাবলিক পরীক্ষাই নিতে চায় সরকার।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য তিন মাসে শেষ করা যায় এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে।তিনি তখন বলেছিলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা শিক্ষার্থীদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়তো এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দুই-এক মাস পিছিয়ে যাবে।
করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি এ পর্যন্ত কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ২২ মে পর্যন্ত চলবে।
বিদ্যমান ছুটির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬০ দিনের সিলেবাস শেষ করার সময়সীমা পার হয়ে যাবে আগামী ২৩ জুলাই। এরপর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা করা হলেও আগস্ট মাসে পরীক্ষা নিতে হবে। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও পিছিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে বুধবার (৫ মে) অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। জুন-জুলাইয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সেটি হয়তো দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এর আগেও তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ছাপাসহ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্যও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে।করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বছরের শেষে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ