জাতীয়

এসএসসির সিলেবাসে পরিবর্তন হচ্ছে , প্রাথমিকেও কমছে বই

প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ে বিষয়বস্তু কমানোর পাশাপাশি এসএসসির সিলেবাসেও পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে একটি নয় হবে দু’টি পাবলিক পরীক্ষা হবে।

জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীরা কোন শাখায় পড়বে, সেটা ঠিক হবে একাদশ শ্রেণিতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির দুই পাবলিক পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’র সূত্র জানিয়েছে, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না। বইয়েও আসছে পরিবর্তন।

বর্তমানে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা হয়। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে কেবল দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এনসিটিবির সূত্র আরো জানিয়েছে, পরিকল্পনা পাস হলে একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে একজন কোন শাখায় (বিজ্ঞান,মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা) পড়বে,তা ঠিক হবে।

প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ করছে এনসিটিবি। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আগামী বছর নতুন পাঠ্যবই পাবে।

পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে নতুন বই দেয়া হবে। আগামি মার্চের মধ্যে শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পুরোপুরি শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হবে।

এনসিটিবির দু’জন সদস্য বলেন,কিছু বিষয় প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। আর কিছু পরিকল্পনার মধ্যে আছে। শিক্ষাবিদ ও এনসিটিবির কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে ১০ টি অভিন্ন বই পড়ানো হবে। এরপর একাদশ শ্রেণিতে গিয়ে শাখা পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হবে।

এদিকে চলমান পাঠ্যক্রম অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ৩ টি করে পাঠ্যবই এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ টি করে পাঠ্যবই পড়তে হয়।

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ১৩ টি পাঠ্যবই পড়তে হয়। নবম ও দশম শ্রেণিতে ২৭ টি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৯ টি পাঠ্যবই পড়তে হয়। তবে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ আলাদা থাকায় নবম,দশম ও একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ের বই পড়তে হয় না।

ঢাকা ব্যুরো চীফ , ২২ জানুয়ারি ২০২০

Share