স্থানীয় সরকার প্রধান প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলীর বদলির আদেশ মানছেন না চাঁদপুর জেলা পরিষদে প্রেষনে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন। তিনি নানা ভাবে তদবীর করে ঠেকাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে বদলির আদেশ। ফলে উপেক্ষিত হয়ে পড়েছে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর আদেশ।
যদিও ইতোপূর্বে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.ইকবাল হোসেনের আর্থিক কেলেংকারী ও অবৈধ বানিজ্যের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু তারপরেও তিনি স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তাই এসও ইকবাল হোসেনের খুটির জোর কোথায়? এ নিয়েও নানা মহলে চলছে গুঞ্জন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রেষনে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেংকারিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজ নামে থাকার বাসার কোনো বরাদ্দ না থাকলেও ক্ষমতার অপব্যহার করে জেলা পরিষদের স্টাফ কোয়াটারের দ্বিতীয় তলায় দীর্ঘদিন বসবাস করছেন।
এছাড়াও বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা পরিষদের সামনে উদ্বোধনকৃত বঙ্গবন্ধুর মোড়কের নামকরণে জৈষ্ঠ্যতা ভঙ্গ করে নিজের নাম ব্যবহার করেন।
এত সব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ মার্চ তত্ববধায়ক প্রকৌশলী (প্রশাসন) এর পক্ষে প্রধান প্রকৌশলী মো.আব্দুর রশীদ খান স্বাক্ষরিত পত্রে চাঁদপুর জেলা পরিষদে প্রেষনে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেনকে তার প্রেষনাদেশ প্রত্যাহার পূর্বক স্ববেতন স্কেলে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে বদলির আদেশ জারি করে। যার স্মারক নং- ৪৬,০২,০০০০,০০১,১৯,০৪৩,১৮-২৩৪৪।
বদলীর আদেশ হলেও দীর্ঘ দিনেও অজ্ঞাত কারনে ইকবাল হোসেন এখনো কচুয়ায় তার নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি। তিনি নানান চেষ্টা তদবীর চালিয়ে স্বপদে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.ইকবাল হোসেন বলেন, চাঁদপুর জেলা পরিষদে আমার জায়গায় নতুন কেউ না আসায় আমি এখনো নতুন কর্মস্থলে যোগ দেইনি। তবে সহসাই যোগ দেব।
তবে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, শুনেছি প্রকৌশলী ইকবাল হোসেনকে কচুয়ায় বদলি করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তিনি জেলা পরিষদ থেকে রিলিজ নেননি। তাই তাকে এখানে আসার ব্যাপারে কিছু বলার মত এখতিয়ার আমাদের নেই।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১২ জুলাই ২০২০