জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনা প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৮৮তম জন্মদিন আজ।
তিনি ১৯৩০ সালের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ১৯৭৩ সালে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল নিয়োগ করা হয়। ভারতে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তাকে সেনাবাহিনী প্রধান করা হয়।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল, দেশের সংবিধানকে রহিত, জাতীয় সংসদ বাতিল এবং মন্ত্রিসভাকে বরখাস্ত করে নিজেকে দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করেন।
এরশাদ ১৯৮৪ সালে দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় উপজেলা পদ্ধতির প্রচলন করেন। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বর্জনের মধ্যে ১৯৮৬ সালের অক্টোবরে আয়োজিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরশাদ জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
বিরোধী দলের প্রবল আন্দোলনের মুখে ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর এরশাদ তৃতীয় জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন। প্রধান বিরোধী দলগুলো ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনও বর্জন করে। প্রবল গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন।
থানা পর্যায়ে দেশব্যাপী উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্যই মুখ্যত এরশাদ আমল (১৯৮২-৯০) স্মরণীয় হয়ে আছে।
ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বেঞ্চ বসিয়ে এরশাদ উচ্চতর আদালত বিকেন্দ্রীকরণেরও প্রয়াস চালান, কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে পরে তা খারিজ হয়ে যায়।
এরশাদের আমলে শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল অত্যন্ত লক্ষণীয়।জনগণের কাছ থেকে কর (সারচার্জ) আদায় করে আর বিশ্ব ব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ দাতাদের কাছ থেকে তহবিল জোগাড়ের লক্ষ্যে এরশাদই প্রথম যমুনা সেতু নির্মাণের বাস্তব পদক্ষেপ নেন।
তার অন্যান্য সৃজনশীল প্রয়াসের মধ্যে ছিল পথশিশুদের প্রয়োজন মেটাতে ‘পথকলি ট্রাস্ট’ গঠন।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময়১০:১৫ এ.এম, ২১ মার্চ ২০১৭,মঙ্গলবার
ইব্রাহীম জুয়েল